পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ কর ফাঁকি নজরদারিতে বাংলাদেশে কর্মরত অনুমোদনহীন বিদেশি নাগরিকরা। এর মাধ্যমে প্রায় ১ লাখ অবৈধ বিদেশি করের আওতায় আসছেন। এদের তালিকা ও যাবতীয় তথ্য সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে কর বিভাগ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, এনবিআরের কর বিভাগের পক্ষ থেকে এ নির্দেশের চিঠি পাঠানো হয়েছে বিনিয়োগ বোর্ড, বেপজা, এনজিও ব্যুরো, সিআইডি ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের কাছে। তাদের পাঠানো তালিকা থেকে যেসব বিদেশি নাগরিক অবৈধ ভাবে কাজ করছেন তাদের ওপর নজরদারি বাড়ানো এবং ফাঁকি দেয়া কর আদায় করা হবে। চিঠিতে রাজস্ব আয়ের স্বার্থে অবিলম্বে এ তালিকা পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
পোশাক খাত দেশের রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস। কারিগরি দিক থেকে দক্ষ লোকের অভাবে এক সময় বিপুল সংখ্যক বিদেশিকে এ খাতে নিয়োজিত করেন উদ্যোক্তারা। একই ভাবে ইপিজেডেও বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিতে বিপুল সংখ্যক বিদেশি কাজ করেন। এখন দেশে দক্ষ জনবল থাকলেও এ সংখ্যা না কমে বরং বেড়েছে। বৈধের পাশাপাশি অবৈধ বিদেশিও কম নয়।
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, দেশে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ বিদেশি কাজ করছেন, যাদের প্রায় এক লাখই অবৈধ। বিনিয়োগ বোর্ড বলছে, ২০০৯ সাল থেকে গেল বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ক পারমিট নিয়েছেন ১৩ হাজার ৬১৯ জন বিদেশি নাগরিক। বিভিন্ন সংস্থা পারমিট দেয়ার কারণে সঠিক তথ্য নেই কারও কাছে। তাই, কাক্সিক্ষত হারে করও পাওয়া যাচ্ছে না তাদের কাছ থেকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গেল বছরে বিদেশি নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৫০০ কোটি ডলার নিজ দেশে পাঠিয়েছেন। টাকার অংকে যা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এমন প্রেক্ষাপটে কর বিভাগ, দেশে কর্মরত সব বিদেশির তালিকা তলব করেছে। এর মধ্য থেকে করের আওতায় আনা হবে অবৈধদের। তবে, এ ব্যাপারে কর কর্মকর্তারা এখনই কোন মন্তব্য করতে চাননি।
এনবিআর জানায়, সক্ষমতার পরও বিদেশিদের কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে, পাশাপাশি তাদের আয়ও গোপন করা হচ্ছে। নজরদারি বাড়িয়ে এ খাতে রাজস্ব বাড়ানোই এখন এনবিআরের লক্ষ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।