পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারীতে আমদানি ও রপ্তানি তলানিতে নেমে এলেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাড়ছেই। গত ২৮ জুনের হিসাব অনুযায়ী, এক হাজার ৮০০ কোটি (১৮ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক অর্থবছরে এত রেমিট্যান্স আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক কাজী ছাইদুর রহমান বলেছেন, ৩০ জুন শেষ হতে যাওয়া বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরের দুই দিন বাকি থাকতেই (২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২০ সালের ২৮ জুন) ১৮ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। চলতি জুন মাসের ২৮ দিনেই (১ জুন থেকে ২৮ জুন) ১৬৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বিশ্বজুড়ে মহামারী চলার মধ্যেও রেমিট্যান্স বাড়ায় বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে। গত সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৫ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। সোমবার বিশ্ব ব্যাংকের ২৫ কোটি ডলার ঋণ যোগ হওয়ায় রিজার্ভ ৩৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলকের পথে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ছাইদুর রহমান। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরের ২৮ জুন পর্যন্ত রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পুরো সময়ে ১৬ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে মহামারী চলায় রেমিট্যান্সে তার প্রভাব না পড়ার জন্য হুন্ডি বন্ধ হওয়া অন্যতম কারণ। এছাড়া প্রণোদনা থাকায় প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাচ্ছেন। দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ বা রেমিট্যান্স। দেশের জিডিপিতে এই রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
এবার করোনাভাইরাস মহামারীতে মার্চ থেকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ওলটপালট হয়ে যাওয়ায় রেমিট্যান্সও কমে গিয়েছিল। কিন্তু এপ্রিল থেকে রেমিট্যান্সে ঊর্ধগতির ধারা চলছে। রেমিট্যান্সের গতি ধরে রাখতে গত অর্থ বছরে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা ঘোষণা করেছিল সরকার।
মহামারির কারণে কোনো দেশের অর্থনীতিই স্বস্তিতে নেই। সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মী যে অঞ্চলে রয়েছে, তেলের দামের নিম্নগতিতে সেখানেও চাকরিতে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
এই সময়ে রেমিট্যান্স বাড়ার বিষয়ে ছাইদুর বলেন, করোনায় পরিবারের-পরিজনের প্রয়োজনে সর্বশেষ জমানো টাকাও অনেকে পাঠাচ্ছেন। অনেকে আবার দেশে ফিরে আসার চিন্তাভাবনা করছে; তাই যা কিছু আছে সব আগেই দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এ সব কারণেই রেমিট্যান্স বাড়ছে।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।