পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চের ভেতর থেকে আরো একটি এবং অভিযান সমাপ্তির আড়াই ঘণ্টা পর আরো একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে প্রথম লাশটি উদ্ধার করে ডুবুরিরা এবং দ্বিতীয় লাশটি বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের ৫০ গজের মধ্যে ভেসে ওঠে। এ নিয়ে মোট ৩৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এদিকে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। তবে লঞ্চে কোনো ত্রæটি ছিল না। কিন্তু মাস্টার একজন শিক্ষানবিশ দিয়ে লঞ্চ চালাচ্ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এর আগে গত সোমবার সকালে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ রুটের মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। মোট দুইজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসাইন জানান, গতকাল সকাল ১০টার দিকে ফের উদ্ধার কাজ শুরু হয়। অভিযানের একপর্যায়ে দুপুর পৌনে ১টার দিকে আরো এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়। এবং আরো একটি লাশ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের ৫০ গজের মধ্যে ভেসে ওঠে। এ নিয়ে মোট ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, এই দুর্ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ৭ সদস্য বিশিষ্ট ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছেন। এ ব্যাপারে নৌপরিবহন অধিদফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ার মো. মনজুরুল কবীর বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শ করা হয়েছে। এছাড়াও সিসিটিভির ফুটেজও দেখা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখতে চাইলাম, ডুবে যাওয়া লঞ্চের সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন ঠিক ছিল কিনা। এ দিক দিয়ে কোন সমস্যা পাইনি। দুর্ঘটনার সময় ময়ুরের মূল মাস্টার নয় একজন শিক্ষানবিশ মাস্টার চালাচ্ছিলেন বলে শুনেছি। এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল, তবে তদন্তে পুরো বিষয়টি উঠে আসবে।
লঞ্চ মালিকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা : ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক, মাস্টারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন নৌ-পুলিশের এসআই শামছুল আলম। মামলার আসামিরা হলেন- ময়ূর-২ লঞ্চের মালিক মোসাদ্দেক হানিফ সোয়াদ, মাস্টার আবুল বাশার, মাস্টার জাকির হোসেন, স্টাফ শিপন হাওলাদার, শাকিল হোসেন, হৃদয় ও সুকানি নাসির মৃধা। এছাড়াও আরো ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই বাছির উদ্দিন বলেন, মামলায় দন্ডবিধির ২৮০, ৩০৪ (ক), ৩৩৭ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
২৬ ঘণ্টা পর ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধার : বুড়িগঙ্গায় ডুবে যাওয়ার ২৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয় লঞ্চ মর্নিং বার্ড। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল। একপর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে এয়ার লিফ্টিং ব্যাগ দিয় ভাসিয়ে তোলা হয় লঞ্চটিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।