পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এই বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ২০৪ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে আজ কমিশন। মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকেলে এই ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফল কমিশনের ওয়েবসাইটে (http://www.bpsc.gov.bd) পাওয়া যাবে। এ ছাড়া টেলিটকের মাধ্যমেও এসএমএস করে ফলাফল পাওয়া যাবে।
নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে পুলিশ ও প্রশাসনসহ সাধারণ ক্যাডারে ৬১৩ জন, সহকারী সার্জন হিসেবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে ২২০ জন, কারিগরী বিভিন্ন ক্যাডারের ৫৩২ জন এবং শিক্ষা ক্যাডারে ৭৬৮ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পিএসসির কর্মকর্তারা। এর আগে ফলাফল প্রকাশের জন্য মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় কর্ম কমিশনের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকেই ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেন। ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়, এতে উত্তীর্ণ হন ১৬ হাজার ২৮৬ জন। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। ২০১৯ সালের ১ জুলাই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে উত্তীর্ণ হন নয় হাজার ৮৬২ জন।
লিখিত পরীক্ষাল ফল প্রকাশের পর গত বছরের ২৯ জুলাই থেকে ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর এখন স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ যাচাইয়ের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করবে। এরপরেই সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা চাকরিতে যোগদান করতে পারবেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার এতো দীর্ঘ সময়ের বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, অনেক সময় দেখা যায় অনেক যোগ্য প্রার্থী কম নম্বর পেয়েছেন। পরীক্ষকের অবহেলায় কোনো যোগ্য প্রার্থী যেন বঞ্চিত না হন, সেজন্য ৩৮তম বিসিএসে প্রথমবারের মতো দুই জন নিরীক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু, বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুই নিরীক্ষকের মধ্যে নম্বরের ব্যবধান অনেক বেশি। তখন আবার তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে সেই খাতা মূল্যায়ন করতে হয়েছে। ফলে লিখিতের ফল দিতেই এক বছর লেগে গেছে, দেরির কারণ এটিই। তবে, এর ফলে যোগ্যরাই শেষ পর্যন্ত চাকরি পাবেন। কেউ আর বঞ্চিত হবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।