Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

২০ বছরে ১২ নৌ-দুর্ঘটনা

তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হলেও পদক্ষেপ নেই

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

দেড় হাজার যাত্রীর মৃত্যু
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যান্ত্রিক ত্রু টি, মুখোমুখি সংঘর্ষ ও চালকের অসাবধানতাসহ বিভিন্ন কারণে ঘটছে লঞ্চ দুর্ঘটনা। একের পর এক নৌ-দুর্ঘটনায় লাশের সংখ্যা দীর্ঘ হচ্ছে। অথচ যাতায়াতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে আরামদায়ক ও নিরাপদ মনে করা হয় নৌপথকে।

গত ২০ বছরে ১২টি বড় নৌ-দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দেড় হাজারের বেশি। এসব বড় বড় দুর্ঘটনার পরও সতর্ক হন না লঞ্চ মালিক বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফায়ার সার্ভিস কিংবা নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, লঞ্চডুবি শুধু প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা নয়। এর পেছনে রয়েছে অনেক কারণ। বিভিন্ন সংস্থার জরিপে নৌ-দুর্ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ কিছু কারণ চিহ্নিত হয়েছে। কারণগুলো হলো- লঞ্চের নকশাজনিত ত্রু টি, লঞ্চ চালকের অদক্ষতা, মাস্টার-সুকানির গাফিলতি, ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ-তিনগুণ যাত্রী বহন, নিরাপত্তা আইন অমান্য করা, বাতি বা সার্চলাইট না থাকা, চলার পথে দুই লঞ্চের মধ্যে প্রতিযোগিতা, বেপরোয়া চালানো, আবহাওয়ার পূর্বাভাস সম্পর্কে না জানা, পর্যাপ্ত লাইফবয়া না থাকা, লঞ্চে ‘কার্বন-ডাই-অক্সাইড সিলিন্ডার’ না রাখা, লঞ্চের কারিগরি ত্রু টি, ফিটনেস না থাকা, উৎসবকালীন সম্ভাব্য দুর্ঘটনার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি না থাকা এবং সতর্কতামূলক চিহ্ন ছাড়া মাছ ধরার জাল পেতে রাখা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালে মেঘনা নদীতে ‘এমভি জলকপোত’ ও ‘এমভি রাজহংসী’ নামের দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১৬২ যাত্রী। ২০০২ সালে চাঁদপুরের ষাটনল সংলগ্ন মেঘনায় সালাহউদ্দিন-২ নামের ডুবে ৩৬৩ যাত্রী মারা যান। ২০০৩ সালে ‘এমভি নাসরিন-১’ চাঁদপুরের ডাকাতিয়া দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ১২৮ পরিবারের প্রধানসহ সরকারিভাবে ৬৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু বেসরকারি হিসেবে লাশ উদ্ধার করা হয় প্রায় ৮০০। ২০০৪ সালের ‘এমভি লাইটিং সান’ লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৮১ এবং ও ‘এমভি দিগন্ত’ ডুবির ঘটনায় শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। ২০০৬ সালে মেঘনা সেতুর কাছে ‘এমএল শাহ পরাণ’ লঞ্চ দুর্ঘটনায় ১৯ জন মারা যায়।

২০১৪ সালে মুন্সীগঞ্জের কাছে মেঘনা নদীতে এমভি মিরাজ-৪ ডুবিতে ২২ যাত্রীর মৃত্যু হয়। একই বছরে পদ্মায় স্মরণকালের ভয়াবহ নৌ-দুর্ঘটনায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ। উদ্ধার করা হয় ২১ লাশ। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মেঘনা নদীর চাঁদপুর সংলগ্ন মাঝ কাজীর চর এলাকার মাঝ নদীতে দুই লঞ্চের সংঘর্ষে দুই যাত্রী নিহত এবং আটজন আহত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নৌ-দুর্ঘটনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ