পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মুরশাদ সুবহানী, পাবনা থেকে : সোনালী আঁশ পাটে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেলেও এই ঝিলিক কত সময় থাকবে তা বলা যায় না। যে কোন সময় পাটের বাজার মূল্য কমে যেতে পারে। মধ্যসত্বভোগিরা হাতিয়ে নিতে পারে কৃষকের শ্রমমূল্য। পাবনা জেলায় এবার পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই ফলনে কৃষকের মুখে সোনালী হাসি দেখা দিয়েছে। জেলায় চলতি মওসুমে প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে তোষা ও মেস্তা পাট আবাদ হয়েছে ৩৬ হাজার ৯৭৯ হেক্টর (তোষা পাট) আর ১১০ হেক্টর জমিতে মেস্তা পাট। দেশী জাতের পাট আবাদ হয়েছে প্রায় ১৫৩ হেক্টর জমিতে। এই পাট থেকে প্রায় ৪ লাখ ১১ হাজার বেল পাট পাওয়া যাবে। পাবনার কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার আটঘরিয়া উপজেলায় ৩ হাজার ৮৮৬ হেক্টর, ঈশ্বরদী উপজেলায় ৫১০ হেক্টর, চাটমোহর উপজেলায় ৫ হাজার ৩৯৫ হেক্টর, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৫২৫ হেক্টর, ফরিদপুর উপজেলায় ৬৩১ হেক্টর, বেড়া উপজেলায় ১ হাজার ৬৮৩ হেক্টর, সাঁথিয়া উপজেলায় ৫ হাজার ৮৮২ হেক্টর, সুজানগর উপজেলায় ১০ হাজার ৫৩৫ হেক্টর, জমিতে তোষা, মেস্তা ও দেশী জাতের পাটের আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে পাট বেশী আবাদ হয়েছে সুজানগর উপজেলায়। বিগত সময়ের চেয়ে এবার বেশী পাট উৎপাদন হচ্ছে। সরকার পাটের বস্তা উৎপাদনের ঘোষণা দেয়ায় পাট আবাদে কৃষকরা উৎসাহী হয়েছেন।
আবহাওয়া ভাল থাকায় এবং সার ও কীটনাশক সরবরাহ ও মূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকায় কৃষক পাটে বাম্পার ফলন করতে পেরেছে। সেই কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের মাঠ তদারিক ও আবাদীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে। কোন স্থানে পাট জাগ দেয়া শেষ হয়েছে। সোনালী আঁশ ছাড়িয়ে হাট-বাজারে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে। সব স্থানের পাট এখনও বাজারে আসেনি। কোন উপজেলায় এখনও পাট জাগ দেয়া হচ্ছে। সল্প সময়ের মধ্যে পাট জাগ দেয়া শেষ হবে। হাট-বাজারে উঠা নতুন তোষা পাট ১৮ থেকে ২ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী ও মেস্তা পাটের বাজার মূল্য এর চেয়ে কম। কৃষক ভাল জাতের পাট (তোষা) বিক্রি করে এখনও লাভজনক অবস্থায় রয়েছেন। তবে অনেক কৃষক পূর্বের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রথম দিকে পাটের দাম ভালই থাকে। হঠাৎ করে সিন্ডিকেট দরপতন ঘটায়। তখন পাটের দাম কমে যায়। সেই অবস্থা হলে তাদের লোকসান গুণতে হবে। পাটের বাজার সিন্ডিকেট, মধ্যসত্বভোগী, ফরিয়ারা কোনভাবেই যেন কৃষকের শ্রমে উৎপাদিত পাটের লাভ হাতিয়ে নিতে না পারে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সজাগ থাকতে ভুক্তভোগীরা অনুরোধ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।