পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : কলকাতা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সমাজসেবী, রাজনৈতিক কর্মী, কূটনীতিজ্ঞ এবং বিশিষ্ট লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। গত ২২ মে থেকেই তিনি বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিশিষ্ট এ সাহিত্যিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে দিল্লি সফর কাটছাঁট করে গতকালই ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেক দিন থেকেই নানা বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। তন্মধ্যে চেস্ট ইনফেকশন, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন, উচ্চ রক্তচাপ এবং ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালেন্সে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তাছাড়া চলছিল ডায়ালিসিস। কয়েক দিন আগে হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় আইটিইউতে। গত বুধবার গভীর রাতে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। সেই ধকল আর সইতে পারেননি প্রবীণ এ সাহিত্যিক।
প্রসঙ্গত, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ছত্তিশগড়ের শবর, দলিত, লোধা এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর নিপীড়িত মহিলাদের জন্যে আজীবন কাজ করে গেছেন তিনি। বিভিন্ন সময়ে তার লেখাতেও ফুটে উঠেছে পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর দুঃখ-দুর্দশার কথা। মহাশ্বেতা দেবী ১৯২৬ সালে ঢাকা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মণীশ ঘটক ছিলেন নামী কবি এবং লেখক। কল্লোল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। মা ধরিত্রী দেবীও একাধারে লেখিকা এবং সমাজসেবী ছিলেন। মহাশ্বেতা দেবীর ছোট কাকা ছিলেন বিশিষ্ট চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। স্কুলের পড়াশোনা ঢাকা শহরে হলেও, দেশভাগের সময়ে পরিবারের সঙ্গে তিনি চলে যান পশ্চিমবঙ্গে। শান্তিনিকেতন থেকে তিনি ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে বিএ পাস করেন। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করেন এমএ। বিখ্যাত নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ১৯৪৮ সালে জন্ম হয় একমাত্র সন্তান নবারুণ ভট্টাচার্যের।
১৯৭৯ সালে তাকে সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার দেয়া হয়। ১৯৮৬ সালে তাকে পদ্মশ্রীতে ভূষিত করা হয়। ২০১১ সালে পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হয়। এরপর একে একে তিনি পেয়েছেন বহু স্বীকৃতি, পুরস্কার। তার মধ্যে রয়েছে জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (১৯৯৬), ম্যাগসেসে পুরস্কার (১৯৯৭), বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার (২০১১)। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।