পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রশাসনের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী যেসব কমিটি করা হবে, সেগুলো দলীয় বা দলের অঙ্গসংগঠন হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, অন্য দল থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও এসব কমিটিতে থাকবেন। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে মাঠপর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটি গঠন করছে।
এটা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু প্রশাসনিকভাবে যে কমিটি হবে, সেগুলো দলীয় হবে না বলে জানান তিনি।
সৈয়দ আশরাফকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হওয়ায় বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সন্ত্রাস ও নাশকতাবিরোধী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে কি না? জবাবে আশরাফ বলেন, ‘অবকোর্স করা হবে, অবকোর্স করা হবে’। স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন, মিউনিসিপ্যালিটিস, ইউনিয়ন পরিষদ- সবাই এর ভেতরে অন্তর্ভুক্ত হবে। এটা কোনো দলীয়, কোনো দলের কোনো অঙ্গ-সংগঠন হবে না।
জাতীয় ঐক্যে বিএনপি-জমায়াতের প্রতিনিধিদের রাখা হবে কি নাÑ এই প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা তো রাজনৈতিক প্লার্টফর্ম নয়, তাই ব্যাপারটা এখানে উল্লেখই না করলাম। নিশ্চয় কালকে বা পরশু দিন পাবেন, এ বিষয়টা আলোচনা হবে।
সন্ত্রাসবিরোধী কমিটিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বাইরে বিএনপি-জামায়াতের কাউকে রাখার সুযোগ আছে কি না- এ প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা তো এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি যে রাজনৈতিক দল নিয়ে হবে, না প্রশাসন নিয়ে হবে, না কি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার দিয়ে করা হবে, না পৌরসভার মেয়র? এটার একটা নির্দেশনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আছেÑ আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এসব কমিটিগুলো করার। প্রশাসনের ব্যাপারে যখন সিদ্ধান্ত হবে, উদ্যোগ নেয়া হবে, তখন প্রশাসনিক আওতার ভেতরে কমিটিগুলো ভবিষ্যতে করা হবে।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী আশরাফ জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় তৃণমূল পর্যায়ে কাজের উপর জোর দিয়ে বলেন, সব থেকে ইমপরটেন্ট স্থানীয়ভাবে তাদের (জঙ্গি) নিরস্ত্র করা অথবা তাদের গতিবিধি পর্যালোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা, এগুলো তৃণমূল পর্যায়েই সব চেয়ে বেস্ট।
বৈঠকে জেলা প্রশাসকরা বাসস্থান, পরিবহন, চালকদের বেতনসহ ছোটখাটো কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানান মন্ত্রী আশরাফ।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, মাঠপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতা আছে বলে মনে হয় না। প্রশাসন যাতে সব সময় গতিশীল থাকে, সে জন্য জেলা প্রশাসকদের কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
সৈয়দ আশরাফ আরও বলেন, জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ করে না। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিভিন্ন কাজে নেতৃত্ব দেন এবং জনমত সৃষ্টি করেন। এটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে তুলে আনার জন্য ডিসিদের নির্দেশ
বাংলাদেশের অপরিচিত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোকে জনসম্মুখে তুলে আনার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশনে এ আহ্বান জানান তিনি।
রাশেদ খান মেনন জানান, বাংলাদেশে বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী ৭২৮টি স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলো পরিচিতি পেলেও এখনও অন্ধকারে রয়েছে বেশ কয়েকটি স্থাপনা।তিনি বলেন, যে সমস্ত পর্যটন আকর্ষণীয় স্থান ও স্থাপনা এখনও দৃষ্টির আড়ালে রয়ে গেছে সেগুলোকে জনসম্মুখে তুলে আনতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।এছাড়া নিঝুমদ্বীপ, ভোলার মনপুরা ও চর কুকরি মুকরি, নেত্রকোনার সুসং-দুর্গাপুর, বরিশাল-পিরোজপুরের ভাসমান হাট পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। এসব এলাকায় অবকাঠামোগত ও যোগাযোগ ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠাতে ডিসিদের অনুরোধ জানায়েছি বলেন তিনি।
রাশেদ খান মেনন ডিসিদের জানান, দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সব বিভাগীয় কমিশনারকে বিশেষ ধরনের অ্যাপস তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। পর্যটকদের সুবিধার্থে গুগল ম্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত করে মোবাইল ফোনে ব্যবহার উপযোগী অ্যাপস তৈরি করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে বরিশাল বিভাগ জেলার পর্যটন সম্ভাবনাময় স্থান চিহ্নিত করে এমন একটি অ্যাপস বানিয়েছে বলে সভায় জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক। এটা একটি ভালো খবর। এতে সহজেই পর্যটকরা প্রতিটি জেলার পর্যটন স্পট সম্পর্কে সহজেই জানতে পারবেন’।
মন্ত্রী জানান, ‘সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা দেশের পর্যটন শিল্পে কোনো প্রভাব ফেলবে না। ইতালিয়ান নাগরিক তাবেলা সিজার ও জাপানি নাগরিক হোসি কোনিও নিহত হওয়ার পর পর্যটন ধ্বসের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছেন। সে বছর ১০ হাজার বিদেশি পর্যটক বেশি এসেছিলেন। এবারও সকল আশঙ্কা ভুল বলে প্রমাণিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।