Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিছিলে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল নিক্ষেপ আহত ২৫ : গ্রেফতার ৬

পুলিশের বাধায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে পারেনি তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি

প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫৪ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের বাধার মুখে সুন্দরবনের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বিরোধী তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বিক্ষোভ মিছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে পারেনি। মিছিলে লাঠিচার্জ ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেলে কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ মিছিল থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তবে বিক্ষোভকারীরা দাবি করেছেন তাদের অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। পুলিশি হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশের সামাজতান্ত্রিক দলÑ বাসদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন। পুলিশের হামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে আগামী শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গতকাল সকালে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলটি কয়েক দফা বাধা পেরিয়ে বাংলামোটরের কাছাকাছি এলে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়ে পুলিশ। এক পর্যায় পুলিশের সাথে মিছিলকারীদের তর্ক-বিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলকারীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে এবং পুলিশ বিক্ষোভ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
গতকাল দুপুরে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন চুক্তি বাতিলসহ সাত দফা দাবিতে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে দুপুর ১২টার পর জাতীয়  প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জাতীয় কমিটি। সমাবেশে জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ রামপাল চুক্তিসহ অন্যান্য ‘দেশবিরোধী’ চুক্তি বাতিল করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে দুপুর সোয়া ১২টার পর জাতীয় কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এতে সহ¯্রাধিক  লোক অংশ নেন।
কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মো. শহিদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদের   নেতৃত্বে এ মিছিল বের হয়। মিছিলটি কয়েকটি ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় হয়ে বেলা সোয়া ১২টার দিকে রূপসী বাংলার সামনে এসে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। পরে বাধা ঠেলে মিছিলটি বাংলামোটর মোড়ের দিকে এগোতে চাইলে পুলিশ ব্যাপক কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এ সময় পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ মিছিলে লাঠিচার্জ করলে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পুলিশ বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা চালায়। তিনি বলেন, এ হামলার মাধ্যমে সরকার দেশি-বিদেশি লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষায় দাপট দেখাল। জনগণের আন্দোলনের মাধ্যমেই সুন্দরবন রক্ষা করব।
সুন্দরবন রক্ষার মিছিলে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ। এছাড়া আরো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি, বাসদের সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরীসহ আরো অনেকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিছিলে লাঠিচার্জ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ