করোনাভাইরাসের কারণে ১৮ মার্চ থেকেই সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও প্রাথমিকের ক্লাস চলছে অনলাইন ও সংসদ টেলিভিশনে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস শুরু করেছে। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এই মাধ্যমে ক্লাস গ্রহণের অনাগ্রহী ছিল। সর্বশেষ ২৫ জুন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাথে এক ভার্চুয়াল সভায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা অনলাইনে ক্লাস নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই অনলাইনে ক্লাস নিতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ইন্টারনেট সংযোগ ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা থাকলে সহায়তা করা হবে বলেও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়র ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের প্রধানদের নিয় অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসের বিষয়ে নতুন এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইতোপূর্বে ডিন’স কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা ও প্রতিবন্ধকতা সত্তে¡ও অনেক বিভাগ বা ইনস্টিটিউট অনলাইনে ক্লাস নেয়াসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত রেখেছে। যে সব বিভাগ বা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন কারণে এখনও অনলাইন ক্লাস চালু করত পারেনি, সে সকল বিভাগ বা ইনস্টিটিউটকে সীমিত সামর্থ দিয়েই জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার জন্য অনুরাধ জানানো হয়েছে।

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নীতিমালা প্রণয়ন, তথ্য-প্রযুক্তি অবকাঠামো নির্মাণ ও আর্থিক সংশ্লেষসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে কোনো শিক্ষার্থী যাতে শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে না থাকে, সেজন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ- সুবিধা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ইউজিসির সঙ্গে অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের এক সভায় এই সঙ্কটকালে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট প্যাকেজ সুবিধা দেওয়ার শর্তে অনলাইনে ক্লাস নিতে রাজি হয় দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বলছে, এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। তবে অনলাইনে কেবল ক্লাস হবে। পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস আপাতত করা যাবে না।