পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসার ৫৪ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এই ৫৪ দিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন সাড়ে ছয়শ’র মতো রোগী। এছাড়া সাধারণ মৃত্যু তো রয়েছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ১৭ জন। এর মধ্যে দুজনের করোনা পজিটিভ ছিল। বাকি ১৫ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। এভাবে প্রতিদিন উপসর্গ নিয়ে এবং উপসর্গ ছাড়া মারা যাচ্ছে অনেক রোগী। তবে এ অবস্থায় ঢামেকে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ ব্যাপক। চিকিৎসা না পেয়ে রোগী ফিরে যাওয়ার বিষয়টি দেখারও কেউ নেই বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবন। কোভিড-১৯ চিকিৎসা কেন্দ্রের নিচতলা। একটি লাশ জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন স্বজনরা। মৃত ব্যক্তির ছেলে বাহাউদ্দিন এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন আর বলছেন, এমন হাসপাতালে কেন যে বাবাকে নিয়ে এলাম! তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাদের বাড়ি রাজধানীর কদমতলির ধনিয়ায়। তার বাবা মিয়াজি উদ্দিন (৮০)। শুধু ডায়বেটিক ছিল তার। ভোরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তখনই একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে চলে আসেন ঢাকা মেডিকেলে। হাসপাতালে এসেই পড়েন বিপাকে। নেই কোনো লোকজন, নেই হুইলচেয়ার, নেই কোনো অক্সিজেন ব্যবস্থা। পরে জরুরি বিভাগ থেকে ট্রলি নিয়ে এসে বাবাকে নিয়ে যান ছয়তলায়। সেখানে গিয়ে পড়েন আরও বিপদে। নেই কোনো চিকিৎসক, নেই কোনো নার্স।
তিনি আরো বলেন, কিছুক্ষণ পর এক চিকিৎসক এসে বলেন, নার্সকে বলেন। নার্সের কাছে গেলে বলেন, আগে চিকিৎসক দেখবেন। এভাবে কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর দেখি, বাবা আর নড়াচড়া করছেন না। পরে এক ওয়ার্ড বয়ের মাধ্যমে ইসিজি করে দেখা যায়, বাবা নেই। শুধু বাহাউদ্দিনের বাবা নয়, এভাবে বিনা চিকিৎসায় ঢামেক হাসপাতালে মারা যাচ্ছে অনেক মানুষ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, করোনা এমন মহামারি আকার ধারণ করেছে যে, এখন আক্রান্তদের পাশাপাশি করোনা সন্দেহে চিকিৎসা না পেয়ে কিছু সাধারণ রোগীও মারা যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, প্রতিদিন অনেক রোগী হাসপাতালে আসছে। এর মধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়েও আসছে, এর বাইরেও আসছে। করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে কিছু সাধারণ রোগীও মারা যাচ্ছে। ডাক্তার-নার্সদেরও কিছু সমস্যা আছে। অনেকেই ভয়ে কাছে যেতে চান না। তবে আমাদের পক্ষে যতটুকু সম্ভব রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নতুন ভবনে ৫২৪ ও বার্ন ইউনিটে ১০২ জন রোগী ভর্তি আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।