পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিউশিন ফি মওকুফ করার আহবান জানিয়েছে অভিভাবক ফোরাম। গতকাল বৃহস্পতিবার সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৭ মার্চ থেকে স্কুলের শিক্ষাকার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ স্কুলে উপস্থিত হননি এবং শ্রেণিকক্ষে কোন পাঠদান হয়নি। এই স্কুলে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত, নিম্ন আয়ের অভিভাবকদের ২৬ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে আসছে। উচ্চ বিত্তের সন্তানরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে। করোনাভাইরাসের কারণে এই স্কুলে অধিকাংশ অভিভাবকের আয়-বাণিজ্য, বেতন-ভাতাদি বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক অভিভাবক বাসা ভাড়া না দিতে পেরে পরিবার পরিজনদের গ্রামের বাড়ী পাঠিয়ে দিয়েছে। অনেকেই বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, গ্যাস বিল দিতে পারছে না। এমনকি সন্তানদেরকে ঠিকমত খাবার জোগার করে দিতে পারছেন না। তারা অমানবিক জীবন যাপন করছেন। এই অবস্থায় করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইডিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি মওকুফ করার দাবি জানানো হয়।
অভিভাবক ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইডিয়াল স্কুল কর্তৃপক্ষ জুন পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ৬ মাসের টিউশন ফি আদায়ের জন্য অমানবিক চাপ দিচ্ছে। শ্রেণি শিক্ষকদের মাধ্যমে মোবাইলে রাতে এবং দিনে টিউশন ফি পরিশোধ করা না হলে অনলাইন ক্লাশ থেকে বহিষ্কার, পরবর্তী ক্লাসে উন্নিত করা হবে না বলে হুমকী দিচ্ছে।
স্কুলের সভাপতি শিক্ষকদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন টিউশন ফি আদায় করতে না পারলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়া হবে না। যা সম্পূর্ণভাবে অমানবিক ও অনৈতিক কাজ। ইতোমধ্যে দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করে দিয়েছেন।
সংগঠনটি দাবি করেছে, আইডিয়াল স্কুলে জানুয়ারি মাসে শিক্ষাবর্ষের প্রথমে ভর্তির সময় অধ্যয়নরত ২৬ হাজার শিক্ষার্থীদের কাছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা আদায় করেছে। করোনাকালীন দূর্যোগ সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ফান্ড থেকে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যায়। স্কুলের ফান্ডের অর্থ নয়-ছয় হয়েছে অভিযোগ করে অভিভাবকরা স্কুলের তহবিল ও আয়-ব্যয়ের হিসাব যাচাই-বাছাই করার জন্য শিক্ষামন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন জনসম্মুখে প্রকাশ করার দাবি জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।