পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সীমান্ত অঞ্চলে গত নয় দিনে বিএসএফের তিন নিরীহ বাংলাদেশিকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ জন্য সরকারের ভারত নতজানু পরাষ্ট্রনীতিকে দায়ী করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গত ১৭ জুন নওগাঁর সাপাহার, ২৩ জুন ময়সিংহের হালুয়াঘাট এবং ২৫ জুন লালমনিহাটের পাটগ্রামে বিএসএফ নিরীহ তিন বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে। কিন্তু বরাবরের মতো এসব সীমান্ত খুনের বিরুদ্ধে সরকারিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ তো দূরের কথা, মৌখিক কড়া প্রতিবাদ জানাতেও আমরা দেখছি না। এটা গভীর বেদনাদায়ক লজ্জার ও নিন্দনীয়। সরকারের দুর্বল জনসমর্থন এবং ভারত নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বিএসএফ এমন দুঃসাহস দেখাতে পারছে।
তিনি বলেন, বিএসএফের যে কোন আগ্রাসী তৎপরতার জবাবে অতীতে বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বীরত্বপূর্ণ গৌরবময় ভ‚মিকা জনগণ দেখে এসেছে। অথচ বর্তমান সরকারের লাগাতার তিন মেয়াদে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে কার্যত নিষ্ক্রিয় রাখা হয়েছে।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, বিশ্বের কোন দেশের সীমান্তে কেবল অবৈধ সীমান্ত পারাপার বা চোরাচালানের জন্য নিরীহ মানুষ খুনের মতো নিষ্ঠুরতার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায় না। এমনকি ভারতের সাথে চীন, মিয়ানমার, ভ‚টান, নেপাল ও পাকিস্তান সীমান্তেও এমন নির্বিচার হত্যাকন্ডে নেই। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ যে হারে নির্বিঘ্নে খুন করে চলেছে, বিশ্বে এমন ঘটনা নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সাথে সমমর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে সুসম্পর্ক থাকা আমাদের কাম্য। কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশিদেরকে লাগাতার তারা খুন করে যাবে, আর বাংলাদেশ সুসম্পর্ক রক্ষার জন্য চুপচাপ সয়ে যাবে; আমরা এমনটা দেখতে চাই না। আমরা চাই সীমান্তে বাংলাদেশের স্বার্থ ও নাগরিকদের জানমালের হেফাজতে বর্ডার গার্ডের জাওয়ানরা বীরের মতো ভূমিকা রাখুক এবং যে কোন আগ্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক।
তিনি বলেন, নেপাল ভূটানের মতো ছোট দেশও ভারতের যে কোন আগ্রাসী তৎপরতার দৃঢ় জবাব দিচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার সীমান্তবাসীর জানমালের নিরাপত্তায় কার্যকর কিছুই করছে না। যে কোন পরিস্থিতিতে নাগরিকদের জান মাল ও ইজ্জত আব্রুর হেফাজত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। রাষ্ট্র ও সরকার যেন সেই কর্তব্যবোধ ভুলে না থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।