পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
মহামারি করোনার অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় সরকার শিল্প ও সেবা খাতের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, সেই তহবিলের আওতায় ঋণের মেয়াদ তিন বছর নয়; এক বছর হবে। গত ১২ এপ্রিল এই প্যাকেজের নীতিমালা ঘোষণার সময় ঋণের মেয়াদ তিন বছর বলা হয়েছিল। গতকাল তা কমিয়ে এক বছর করে নতুন একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্ধেক অর্থের জোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য ইতোমধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে।
তাতে বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো এই তহবিল থেকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তাদের ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দেবে। এর মধ্যে অর্ধেক, অর্থাৎ ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিশোধ করবে ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান। বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে দেবে।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে সেসব প্রতিষ্ঠানকে গতিশীল ও পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সেজন্য তিনটি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে। এই প্যাকেজের আওতায় সাধারণভাবে ঋণগ্রহীতা/গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ ১ বছর। তবে ঋণের অর্থ কোনো গ্রাহককে এক বছরের মধ্যে দেয়া সম্ভব না হলে অবশিষ্ট অর্থ আলোচ্য প্যাকেজের অবশিষ্ট মেয়াদের মধ্যে ঋণ হিসেবে দেয়া যাবে। বিদ্যমান ঋণ গ্রহীতা/গ্রাহক পর্যায়ে মোট ঋণের পরিমাণ কোনোভাবেই ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ প্রদত্ত সীমার ৩০ শতাংশের বেশি হবে না। তাছাড়া নতুন ঋণ গ্রহীতার ক্ষেত্রেও বিদ্যমান নীতিমালার আওতায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ ঋণের প্রাপ্যতা সীমার ৩০ শতাংশের বেশি হবে না। ব্যাংক কোনো ঋণ গ্রহীতাকে যেভাবেই ঋণ দিক না কেন (এককালীন অথবা প্যাকেজের মেয়াদে একাধিক বছরে প্রদত্ত হয়ে থাকলে) সেই ব্যাংক মোট সীমার মধ্যে প্রদত্ত ঋণের ওপর সুদ/মুনাফা/ ভর্তুকি প্রাপ্য হবে। এই প্রণোদনা প্যাকেজের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।