পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অভিনব কায়দায় পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরির ঘটনায় চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম (৩৪) ও মো. মহিউদ্দিন মনির (৩০)। শরীফুল ইসলামের বাসা ঢাকার নসরুদ্দীন রোডে। আর মহিউদ্দিন মনির নগরীর সদরঘাট এলাকায় বসবাস করেন। নগরীর আগ্রাবাদ থেকে মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পেনড্রাইভ, কিবোর্ড, সেন্সরযুক্ত ইউএসবি হ্যাব, মোবাইল ফোন, ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ সংযুক্ত এটিএম ক্লোন কার্ড, অস্ত্রসহ বেশকিছু সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুক উল হক বলেন, শরীফুল ইসলাম এটিএম বুথ থেকে টাকা চুরি চক্রের মূলহোতা। বিশেষ দুটি মডেলের মেশিন যেসব বুথে রয়েছে সেগুলোকে টার্গেট করে অনলাইন থেকে মেশিনের চাবি সংগ্রহ করে তারা। পরে ম্যালওয়ার সফটওয়্যার সমৃদ্ধ পেনড্রাইভ সংযুক্ত ইউএসবি হাবপোর্ট এটিএম মেশিনে প্রবেশ করানো হয়।
ম্যালওয়ার সফটওয়্যারটি উইন্ডোজে দেখা গেলে বাহির থেকে ওয়ারলেস মিনি কিবোর্ডের মাধ্যমে সুপারভাইজার প্যানেলকে নিয়ন্ত্রণ করে কমান্ডের মাধ্যমে এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে নেয় এই চক্র। নগরীর চকবাজার ও চৌমুহনীতে দুটি এটিএম বুথে হানা দিয়ে তারা এভাবে টাকা চুরি করে। সিসিটিভিতে তাদের ছবি ধরা পড়ে। পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় পূবালী ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ১০ হাজার, ১৬ নভেম্বর কুমিল্লা কান্দিরপাড় থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ১৭ নভেম্বর নগরীর চকবাজার কলেজ রোড থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং একই দিন শেখ মুজিব রোডের বুথ থেকে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা তুলে নেন শরীফুল।
শরীফুল ইসলাম শুরুতে ক্রেডিট কার্ড পরে এটিএম কার্ড জালিয়াতি করেন। সবশেষ তিনি বুথে কন্ট্রোল নেওয়ার মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেন। তাকে ২০১৩ সালে সিআইডির গ্রেফতার করে। ২০১৮ সালেও তিনি একই অপরাধে গ্রেফতার হন। তবে জামিনে বের হয়ে ফের এ কাজে নেমে পড়েন। এই দুজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে চারটি মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।