পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার ধরে রাখতে কুয়েতে অর্থ পাচার, মানবপাচার, নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিচারের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি। একই সঙ্গে জাতীয় সংসদের মর্যাদা রক্ষায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কাজী পাপুল এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তার বিচারের দাবিতে নানা মন্তব্য, বক্তব্য-বিবৃতি দেয়া হচ্ছে। মূলত কুয়েতে কারাগারে বন্দি এমপি পাপুলের বিচারের দাবি দেশেও জোরালো হচ্ছে। কুয়েতে পাপুলের অপকান্ডে সহায়তার জন্য কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। গতকাল এক বিবৃতিতে এমপি পাপুলের বিচারের দাবি জানিয়ে সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম বলেন, বর্তমান সংসদে এমপিদের মধ্যে অনেকে আইন তৈরির কাজে ব্যস্ত না থেকে অসামাজিক ও অর্থনৈতিক অপরাধের যুক্ত হচ্ছেন। এসব এমপিদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে।
টিআইবি বলেছে, দেশের সুনাম আর হাজার হাজার প্রবাসী শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ভবিষ্যৎ যেখানে জড়িয়ে আছে, সেখানে কুয়েতে সংসদ সদস্যের কেলেঙ্কারির পরও সরকারের উদাসীনতা একই সঙ্গে লজ্জার ও আশঙ্কার। কুয়েত সরকারের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের অপেক্ষায় না থেকে স্বপ্রণোদিতভাবে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত। কারণ যাদের পাচার করা হয়েছে এবং জিম্মি করে দফায় দফায় অর্থ আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, তারা সবাই এদেশেরই নাগরিক। তারপরও তদন্তের জন্য কুয়েতের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে কেন? এই ঘটনাপ্রবাহ থেকে এটুকু স্পষ্ট যে, এর পিছনে বিভিন্নœ প্রভাবশালী মহলের দৃশ্যমান যোগসাজশ ছিল।
এদিকে কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ তদন্তের অংশ হিসেবে তার নিজের ও স্ত্রীর, মেয়ে এবং শ্যালিকার ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাবের লেনদেন স্থগিত করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটকে (বিআইএফইউ) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
দুদকের ওই চিঠিতে পাপুল ছাড়াও তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিনের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সব হিসাব স্থগিত করার অনুরোধ জানানো হয়।
চিঠিতে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করার পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত জরুরিভিত্তিতে অনুসন্ধান কর্মকর্তাকে দিতেও অনুরোধ করা হয়। এর আগে দুদক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এমপি পাপুল তার স্ত্রী, মেয়ে ও শ্যালিকার নামে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ আছে। কুয়েতে মানবপাচার, প্রতারণা ও অর্থ পাচারের অভিযোগে লক্ষীপুর-২ আসনের এমপি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল কুয়েতে ৬ জুন গ্রেফতার হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।