Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিদ্যুৎকেন্দ্র-গ্যাস ক্ষেত্রে নিরাপত্তার নির্দেশনা

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও গ্যাস ক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশী-বিদেশী বিশেষজ্ঞদের আবাসস্থল ও চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। এছাড়া জ্বালানি তেল ডিপোর নিরাপত্তা বিধানের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন গতকাল (বুধবার) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার পর এ কথা জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভেজাল রোধ, অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ এবং বকেয়া গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল আদায়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গ্যাস বিচ্ছিন্নকরণ কমিটির সভা নিয়মিত করার উদ্যোগ নিতেও বলা হয়। এছাড়াও সম্মেলন থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ইউনিয়ন পর্যায়ে একজন করে ইলেকট্রিশিয়ান পদ সৃষ্টির প্রস্তাবও গ্রহণ করা হয়েছে।
নদীর নাব্য রক্ষায় মেগা ড্রেজিং পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের
নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ও জরুরি কাজ করার ক্ষেত্রে সরকারের অর্থের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি তুলে ধরেছেন পানি সম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের নদ-নদীর নাব্যতা রক্ষায় সরকার মেগা ড্রেজিং পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যার মাধ্যমে দেশের সকল নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা হবে। জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল (বুধবার) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার পর এ কথা জানান পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। জেলা প্রশাসকদের সাথে বৈঠকে ১৪ জন জেলা প্রশাসকের লিখিত প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী। এছাড়াও বেশ কয়েকজন জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক প্রশ্নেরও তিনি উত্তর দিয়েছেন। সকাল ১১ থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা এই বৈঠক চলে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল নিয়ে একজন জেলা প্রশাসকের করা প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদমন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক যে দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলো নাব্যতা হারাচ্ছে এবং সেখানে বাঁধগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে করে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সীমিত সম্পদ। দেশের সকল নদী তীর সংরক্ষণ, বাঁধ মেরামত, ভাঙ্গন প্রতিরোধ করার মত পর্যাপ্ত অর্থ আমরা পাইনা। তিনি জেলা প্রশাসকদের জানান, রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত বাবদ পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে বাজেট রয়েছে মাত্র ৩৭৫ কোটি টাকা। অথচ এজন্য এক হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রয়োজন। ফলে চাহিদা মোতাবেক সকল কাজ এই মন্ত্রণালয়ের পক্ষে করা সম্ভব হয় না। পানি সম্পদমন্ত্রী বন্যার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাঠ কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। বৈঠকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পাউবো মহাপরিচালক উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎকেন্দ্র-গ্যাস ক্ষেত্রে নিরাপত্তার নির্দেশনা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ