পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের ভেতরে কিছু কমিশনভোগীর স্বার্থে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার স্বার্থে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশকে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, যে দেশের মানুষের মধ্যে সুন্দরবন রক্ষার মতো দায়িত্ববোধ তৈরি হয় না, সে দেশে জঙ্গি, সাম্প্রদায়িকতা ও সহিংসতা থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। গতকাল (বুধবার) রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি আয়োজিত এক পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন। সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন বাংলাদেশ রক্ষার আন্দোলন, ভবিষ্যৎ রক্ষার আন্দোলন। বিদেশী শাসকগোষ্ঠীকে খুশি করার জন্য সরকার এগুলো করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ভারতকে দেয়া হচ্ছে সুন্দরবনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র। চীনকে দেয়া হচ্ছে বাঁশখালী ধ্বংস করে আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। রাশিয়াকে দেয়া হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। আর আমেরিকাকে দেশের বঙ্গোপসাগরের বিশাল সম্পদের ব্লকগুলো দিয়ে দেয়া হচ্ছে।’ দেশের সব পর্যায়ের, সব পেশার, বয়সের নারী-পুরুষকে সুন্দরবন-বিধ্বংসী এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এটা রক্ষা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য। জাতীয় জাগরণ ছাড়া সুন্দরবন রক্ষা সম্ভব নয়। এটি রক্ষা করা না গেলে দেশে আরও বিপর্যয় আসবে।’
মানুষকে আরও সক্রিয়, সজাগ ও প্রতিবাদে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘যে দেশের মানুষের সুন্দরবন রক্ষার মতো সংবেদনশীলতা বা দায়িত্ববোধ তৈরি হয় না, সে দেশে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, সাম্প্রদায়িকতা এবং সহিংসতা থেকে মুক্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যে দেশে এই সংবেদনশীলতা তৈরি হবে, সে দেশে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মানুষের ওপর মানুষের নিপীড়নের ব্যবস্থা জায়গা করতে পারবে না।’ সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা জাহাঙ্গীর আলম ফজলু বলেন, ‘বিদেশী বন্ধুদের স্বার্থে, ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে, নিজেদের স্বার্থে সরকার এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সুন্দরবন শুধু দেশের নয়, সারা পৃথিবীর সম্পদ। আর সেখানেই হচ্ছে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিরুদ্ধে নই। কিন্তু সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা চাই না।’
সমাবেশ শেষে একটি পদযাত্রা মিছিল শাহবাগ থেকে কাঁটাবন হয়ে এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যালে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রা মিছিল থেকে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের দাবিতে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।