পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হওয়া বিভিন্ন পেশাজীবীদের মুক্তি দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে দুর্নীতিবিরোধী জার্মানভিত্তিক সংস্থাটি এ দাবি জানায়। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সা¤প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুতে- বিশেষ করে চলমান করোনা মহামারীতে সেবাপ্রদান, ত্রাণ বিতরণ ও নানা বিষয়ে অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ-প্রকাশ, তথ্যপ্রচার, মতপ্রকাশ, এমনকি কার্টুন প্রকাশের কারণে নানা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে সারাদেশে সাংবাদিক, শিক্ষক, লেখক, কার্টুনিস্ট, সমাজকর্মী, এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক হামলা, মামলা, চাকরিচ্যুতি ও হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তথাকথিত ‘গুজব ছড়ানো’, ‘মিথ্যা তথ্যপ্রকাশ’, ‘সরকারের সমালোচনা’, ‘ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়া’, ‘হত্যার হুমকি’, ‘মানহানি’ ইত্যাদি যুক্তিতে নাগরিকের বাকস্বাধীনতা ও তথ্যপ্রকাশ এবং জানার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। আর এটি নিবর্তনমূলক ও সংবিধান পরিপন্থী।
ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অনেককেই অন্যায্য মামলায় নিগৃহীত করে কারাগারেও পাঠানো হয়েছে। যা শুধু স্বাধীন মতপ্রকাশের জন্য হুমকি নয়, বরং দেশে স্বেচ্ছাচারিতাকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ ও স্বাভাবিকতায় রূপান্তর করা হচ্ছে। কাজ দিয়ে সমালোচনার জবাব দিন।
প্রকাশিত তথ্যের গুরুত্ব দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করুন। তিনি আরো বলেন, তথ্যপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণ করে বা ভিন্নমত দমন করে অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারিতার পথে হাঁটবেন না। অবিলম্বে এ ধরনের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও নিবর্তনমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং অন্যায্যভাবে গ্রেফতারদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি দুর্নীতি-অনিয়মের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে নির্মোহ ও যথাযথ তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।