পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত বৈঠকে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা প্রতিপালন ও বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। আলোচনা শেষে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদের সভাপতির নির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা এক কোটি গাছের চারা রোপণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহারে পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সেজন্য উপ-কমিটি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় সে লক্ষ্য অর্জনে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষে আমরা সারা দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি জড়িত এমন চার কোটি লোককে সম্পৃক্ত করতে কাজ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী ও দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা এবং কেন্দ্রের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের অধিনস্থ ৭৫টি ওয়ার্ড ও দক্ষিণের ২৪টি থানার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের টেলিফোনে বৃক্ষরোপন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসাথে এ বিষয়টি মনিটরিং করছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর। রাজধানীর প্রতিটি বাড়ির ছাদে ও ফলন-বনজ এবং ঔষধি গাছ লাগানোর নির্দেশনা দেন মহানগর নেতারা। আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, আমি নিজেও বৃক্ষপ্রিয় একজন মানুষ। নিজ জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের বাড়িতে একটি খেজুর বাগান করেছি। সুস্থ জীবনযাপন ও কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা, জীবযাত্রার মানোন্নয়ন এবং বায়ু ও অন্যান্য পরিবেশ দূষণ হ্রাসের লক্ষে বৃক্ষ রোপণের বিকল্প নেই।
প্রসঙ্গত, গত ১ আষাঢ় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৩ মাসব্যাপী (আষাঢ় শ্রাবণ ও ভাদ্র) বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। তিনি আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের প্রত্যেক নেতাকর্মীকে ৩টি করে গাছ লাগানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।