পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মো: হাসান খালিদের (৫৫) লাশ রাজধানীর পাশে কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ কামরাঙ্গীরচর ও কেরানীগঞ্জ থানার মাঝামাঝি সাইনবোর্ড ঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফেরদৌস জানান, খালিদের পকেট থেকে তার গাড়ির চাবি, মানিব্যাগে কিছু টাকা ও কয়েকটি ভিজিটিং কার্ড এবং হাতে হাতঘড়ি পাওয়া গেছে। তবে তার সঙ্গে তার ব্যবহারের মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। সাইনবোর্ড ঘাট এলাকায় একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। লাশের প্যান্টের পকেটে ভিজিটিং কার্ড দেখে হাসান খালিদের পরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ। এ ছাড়া হাসান খালিদের ছোট ভাই মুরাদ হাসানও লাশ শনাক্ত করেন।
হাসান খালিদ নিখোঁজ হওয়ার পর গত শনিবার রাতেই তার পরিবারের পক্ষে স্ত্রীর ভাই শরীফুল আলম ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। জিডিতে বলা হয়, শনিবার সকালে ধানমন্ডির
বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি হাসান খালিদ।
নিহত হাসান খালিদের স্ত্রীর বড় ভাই শরীফুল আলম জানান, গত শনিবার সকালে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হন হাসান। টেবিলে তার নাশতা দেয়া হয়। এ সময় ওষুধ আনার কথা বলে তিনি নিচে যান। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। আমরা আত্মীয়-স্বজনের বাসায় খোঁজ করি। বাসার নিচে দু’টি ওষুধের দোকান আছে। সেখানে খোঁজ করার পর তারা জানায়, তাদের ওখানে যাননি। এরপর ঐ রাতেই ধানমন্ডি থানায় জিডি করি। আজকে বুড়িগঙ্গায় লাশ উদ্ধারের পর ছোট ভাই মুরাদ কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় যান। সেখানে তার লাশ শনাক্ত করেন।
গতকাল বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় গিয়ে হাসান খালিদের লাশ শনাক্ত করেন তার ছোট ভাই মুরাদ। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (মিটফোর্ড) নিয়ে আসা হয়। খালিদের আরেক ভাই রাশেদ মিটফোর্ড হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের তো কোনো শত্রু নেই। কেন আমার ভাইকে মারল, কিভাবে মারল কিছুই বুঝতে পারছি না।
প্রসঙ্গত, ব্যবসায়ী হাসান খালিদ দীর্ঘদিন ধরে তৈরী পোশাক আমদানি-রপ্তানির ব্যবসা করেন। যাদের হাত ধরে ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ গঠিত হয়, তাদের মধ্যে হাসান খালিদ অন্যতম। বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের বাণিজ্যের উন্নয়নে ট্রেড ফ্যাসিলিয়েটর হিসেবেও তিনি কাজ করেছেন।
৫২/১ নিউ ইস্কাটনের হাসান হোল্ডিং ভবনের অষ্টম তলায় তার দু’টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় রয়েছে। এর একটি ‘নিউ এরা ট্রেডিং’ ও অন্যটি ‘কেমিকো বাংলাদেশ লিমিটেড’। তার প্রতিষ্ঠান হংকংভিত্তিক ‘ক্রকোডাইল গার্মেন্টস’-এর বাংলাদেশী পরিবেশক। বসুন্ধরা সিটিতে তার একটি দোকানও আছে। আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করা হাসান খালিদ কেমিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। গত ২৫ বছর ধরে তিনি আমদানি-রপ্তানি ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। তিনি ধানমন্ডির ৪/এ নম্বর রোডের ৪৫ নম্বর বাসায় এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।