পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করল হামলাকারী
ইনকিলাব ডেস্ক : জাপানের একটি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ছুরি নিয়ে হামলা চালানো ব্যক্তি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে চালানো ওই হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। এতে আহত হয়েছে আরো অন্তত ২৫ জন। আহতদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কানাগাওয়া পুলিশ সাতোশি উয়েমাতসু নামে ২৬ বছরের ওই হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে। উয়েমাতসু নিজেই সুখুই পুলিশ স্টেশনে এসে আত্মসমর্পণ করেন। উয়েমাতসু এই প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করে চাকরি ছেড়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে আত্মসমর্পণ করে হামলাকারী স্বীকার করে বলেছেন, আমি এটা করেছি। হামলাকারী পুলিশকে আরো বলেন, প্রতিবন্ধীরা না থাকলেই ভালো। পুলিশ জানিয়েছে, উয়েমাতসু শহরের সাগামিহারার সেবাকেন্দ্রের একজন সাবেক কর্মী এবং শহরেই তিনি বসবাস করতেন। আত্মসমর্পণের সময় তার ব্যাগে একাধিক ধারালো ছুরি ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত ছিল। খুনের উদ্দেশ্য ও অননুমোদিতভাবে একটি ভবনে প্রবেশের প্রাথমিক অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সুখুই ইমায়াইউরি এন (সুখুই লিলি গার্ডেন) প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে গত সোমবার রাত আড়াইটায় ছুরিকাঘাতের ঘটনার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুনাগাওয়া গভর্নর ইউজি কুরিওয়া নিহত ও তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও দুঃখ প্রকাশ প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবার ও আহতদের যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, উয়েমাতসু এই প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করেছেন। কেন তিনি চাকরি ছেড়ে দেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এর আগে অপর এক খবরে বলা হয়, জাপানে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ঢুকে ছুরিকাঘাতে ১৯ জনকে হত্যা করেছে প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক কর্মী। রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগামিহারায় সরকারি এ সেবাকেন্দ্রে বাসিন্দাদের সবাই শিশু ও বৃদ্ধ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ২৬ বছর বয়সী সেবাকেন্দ্রের সাবেক কর্মী সাতোশি ইমাতসু আত্মসমর্পণ করেন। তবে কেন তিনি এ হত্যাকা- ঘটিয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। জাপানে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটি জঘন্য হত্যাকা- বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। তবে ২০০১ সালের এই দিনে একটি স্কুলে আট শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এক প্রতিবন্ধী। পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আটকের পর হামলাকারী পুলিশকে বলেছেন, আমি এই দুনিয়া প্রতিবন্ধীমুক্ত করতে চাই। ঘটনাস্থলে ২৯টি জরুরি চিকিৎসক দল কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। আহতদের জরুরি সেবা দিতে চিকিৎসকদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। সাগামি নদীর পাড়ে গাছপালা পরিবেষ্টিত সাড়ে ৭ একরেরও বেশি জমিতে প্রতিষ্ঠিত ও সরকার পরিচালিত ওই সেবাকেন্দ্রে নানা বয়সী প্রতিবন্ধীদের সেবা দেয়া হয়। সর্বোচ্চ ১৫০ জন প্রতিবন্ধীর ওই সেবাকেন্দ্রে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। কিওডো, জাপান টাইমস, বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।