পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মালিকানা দ্বন্দ্ব, অনিয়ম-দুর্নীতি ও সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ
অন্যগুলোর আউট ক্যাম্পাসও বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার : মালিকানা দ্বন্দ্ব, অনিয়ম-দুর্নীতি ও ‘সনদ বাণিজ্যের’ অভিযোগে বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সাথে দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। হাইকোর্টের সাম্প্রতিক এক রায়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল (সোমবার) এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করে। একই আদেশে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কার্যক্রম (আউটার ক্যাম্পাসসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দেশে বর্তমানে ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে ৯০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা সঙ্কট, অনিয়ম, দুর্নীতি ও আউটার ক্যাম্পাসের মাধ্যমে ‘সনদ বাণিজ্য’ বন্ধ করাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে ২০১০ সালের অক্টোবরে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কাজী এবাদুল হককে প্রধান করে এক সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি করে সরকার। ২০১৩ সালের মার্চ মাসে বিচার বিভাগীয় সেই কমিটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন দেয়, যাতে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সুপারিশ করা হয়।
এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে প্রেসিডেন্টকে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করে। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দারুল ইহসানসহ ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮টি ক্যাম্পাসে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সতর্ক করে দেয়। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিলেও উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। সম্প্রতি হাইকোর্টের রায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যাওয়ায় বিতর্কিত ওই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান। অননুমোদিত শাখা ও ক্যাম্পাস পরিচালনা, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা বিচারাধীনসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও সমস্যায় জর্জরিত ছিল দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি যত্রতত্র শাখা খুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সনদ বাণিজ্য ও প্রতারণা করছে। দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা চারটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে চারটি মূল ক্যাম্পাসসহ অসংখ্য আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করে আসছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৫ অক্টোবর বিচার বিভাগীয় একটি কমিশন গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধের সুপারিশ করে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি অর্থের বিনিময়ে সনদ বিক্রি করছে এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘন করেছে। পরে আদালতে যান বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভক্ত মালিকরা।
বহুল আলোচিত বেসরকারি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম (আউটার ক্যাম্পাসসহ) বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। একই সঙ্গে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল এক আদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৯৫টি। মূল ক্যাম্পাসের বাইরে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অসংখ্য আউটার ক্যাম্পাস রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আউটার ক্যাম্পাস পরিচালনা করতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।