পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট উপস্থাপনের পর ওই দিন রাত থেকেই তিন বেসরকারি অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক এবং দুইদিন পর রাষ্ট্রায়াত্ত্ব অপারেটর টেলিটক তা আদায় শুরু করে। বাজেট পাসের আগেই কেন বাড়তি কর আদায় শুরু করা হয়েছে তা জানতে চেয়ে রোববার চার মোবাইল ফোন অপারেটরকে চিঠি দেয়া টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি।
এরপরের দিনই গতকাল গত ৫ অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের পূর্বে অপারেটরগুলো যে অর্থ আদায় করেছে তা ফেরত চেয়ে বিটিআরসিতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন। অনৈতিকভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে এই অর্থ আদায় করা হয়েছে দাবি করে তা ফেরতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বরাবরে চিঠি প্রেরণ কর করা হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক ই-মেইলের মাধ্যমে কমিশনকে এ চিঠি প্রেরণ করেছেন এবং একই সাথে অর্থ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়েও অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দীন আহমদ বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থ বছর থেকে টেলিযোগাযোগ খাতে দফায় দফায় কর বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং বাজেট উপস্থাপনের দিবাগত রাত হতেই মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো প্রস্তাবকৃত শুল্ক গ্রাহকদের কাছে আদায় করতে শুরু করেছে। অথচ বাজেট উপস্থাপনের পর আলোচনা ও সংযোজন-বিয়োজনের পর ৩০ জুন পাশ হলে ১ জুলাই হতে তা কার্যকর হয়। বিগত কয়েক বছর যাবত এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বিভিন্ন ধরণের আন্দোলন সংগ্রাম করেও আপনাদের বা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি নাই।
তিনি বলেন, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটেও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়। যার প্রতিবাদে আমরা সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধণ, গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ নিয়ে কমিশনের কোন প্রতিক্রিয়া আমরা লক্ষ্য করি নাই। নতুন বাজেট উপস্থাপনের পর অপারেটররা একই কায়দায় গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় শুরু করে। অবশেষে রোববার কমিশন অপারেটরদেরকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছে, অতিরিক্ত অর্থ কেন আদায় করা হচ্ছে? আমরা এজন্য কমিশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দাবি গত ৫ বছর ও চলতি মাসে গ্রাহকদের কাছ থেকে বাজেট পাশের পূর্বে যে অর্থ আদায় করা হয়েছে তা গ্রাহকদের ফেরত প্রদান করা হোক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।