বাজেটে লৌহ শিল্পের কাচামাল আমদানিতে রেগুলারেটরি ডিউটি প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ আয়রণ অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ আয়রণ অ্যান্ড স্টিল মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন।

গতকাল সংগঠন দুটি পুরান ঢাকার নিজ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কাঁচামাল সেকেন্ডারি কোয়ালিটি স্টিল কয়েল/সিট এর ওপর রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) ৩ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ আয়রণ অ্যান্ড ষ্টিল ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আমীর হোসেন নুরানী, সাধারণ সম্পাদক নাসিরউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ আলী, সহকারী কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম এছাড়াও মীরহাজিরবাগ, কেরানিগঞ্জের লৌহ ব্যাবসায়ীরা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, করোনার পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও স্থবিরতা নেমে এসেছে। আয়রন অ্যান্ড স্টিল ব্যবসায়ীরা বহু বছর ধরে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্পের কাঁচামাল সেকেন্ডারি কোয়ালিটি স্টিল কয়েল/সিট বিভিন্ন দেশ থেকে গামের্›টসের স্টক লটের মত খুবই কম মূল্যে আমদানি করে আসছি। বছরে প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন আমদানি করে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব প্রদান করে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছি।

প্রায় ছোট-বড় ৩ লাখের অধিক শিল্প- কারখানা ও ওয়ার্কশপ একসঙ্গে আছি। এই শিল্পের সাথে প্রায় প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ২৫ লাখের অধিক লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে।

এতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ কারখানাগুলোর কাঁচামালের মূল্য বেড়ে যাবে। আমদানিকৃত ফিনিশ্ড প্রোডাক্টের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে পারবে না। ফলে এই শিল্পের সাথে জড়িত লাখ লাখ কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে এবং এই শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করতে পেরে দেউলিয়া হয়ে যাবে। অন্যদিকে সরকার তার রাজস্ব হারাবে ও আমদানিকৃত ফিনিশ্ড পণ্য দ্বারা বাজার সয়লাব হয়ে যাবে। তাই এসব পণ্যসমূহের রেগুলারেটরি ডিউটি সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি। অন্যথায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা ছাড়া উপায় থাকবে না।