পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ঠেকাতে রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে লাল জোন গুলোর মসজিদে জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঘোষিত লাল জোনের মসজিদে জামাতে অংশ গ্রহণের পরিবর্তে নিজ নিজ বাসা বাড়িতে ইবাদত করার এবং জুমার নামাজের পরিবর্তে বাসায় যোহর নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার এ নির্দেশনা জারি করেছে। আজ শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতি দ্রুত অবনতিশীল হচ্ছে এবং সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বিশ্বব্যাপি প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ মহামারী আকার ধারণ করায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের জনসাধারণকে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে ইবাদত/উপাসনা করার নির্দেশ প্রদান করে। পরবর্তীতে উক্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদসমূহে সুস্থ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামায়াতে নামাযের অনুমতি প্রদান করা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর করোনাভাইরাস রোগের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় দেশের যে কোন ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ বা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। গত ১২ জুন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য উপসনালয়ে সর্বসাধারণের আগমন বন্ধ রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভয়ানক করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলোতে মসজিদের খতীব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ ব্যতীত অন্য সকল মুসুল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে যোহরের নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উল্লেখিত এলাকাসমূহে মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব,ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনধিক ৫ জন এবং জুমার জামায়াতে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাহিরের কোন মুসল্লি মসজিদের ভেতরে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। একই সাথে উল্লেখিত এলাকাসমূহে অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদেরকে স্ব স্ব উপাসনালয়ে সমবেত না হয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সময়ে সারাদেশে কোথাও ওয়াজ মাহফিল, তাফসির মাহফিল, তাবলীগি তালীম বা মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা যাবে না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, যিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন। সকল ধর্মের মূলনীতির আলোকে এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।