পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী সপ্তাহেই লন্ডন ও কাতারে ফ্লাইট চলাচলের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ফলে ঢাকা থেকে লন্ডনে সরাসরি ফ্লাইট চালাতে পারবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। তবে করোনাভাইরাসের কারণে কাতারে বাংলাদেশী যাত্রী প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকায় কেবল ঢাকা-দোহা রুটে ট্রানজিট যাত্রী পরিবহন করতে পারবে কাতার এয়ারওয়েজসহ দেশীয় এয়ালাইনসগুলো।
অন্যদিকে ঢাকা-দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাচ্ছে এমিরেটস এয়ারলাইনসও। তারাও কেবল ট্রানজিট যাত্রী পরিবহন করতে আগ্রহী। তবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে থাকায় এ মুহূর্তে বাংলাদেশী কোনো এয়ারলাইনসকে প্রবেশাধিকার দিতে আগ্রহী নয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। সেদেশের কোনো এয়ারলাইনসকেও আপাতত ঢাকা থেকে ট্রানজিট যাত্রী পরিবহনের অনুমতি দিতে আগ্রহী নয় বেবিচক। এতে সহসাই চালু হচ্ছে না এমিরেটস এয়ারলাইনসের ঢাকা-দুবাই ফ্লাইট।
এ প্রসঙ্গে বেবিচকের সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) গ্রæপ ক্যাপ্টেন চৌধুরী মো. জিয়াউল কবীর গণমাধ্যমকে বলেন, আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচল চালুর বিষয়ে কাজ চলছে। এজন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকও হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে লন্ডন ও কাতারের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট চলাচলের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, সেটা উঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে ওই দুই দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে থাকায় কাতারে বাংলাদেশীদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় কাতার এয়ারওয়েজ কেবল ট্রানজিট যাত্রী পরিবহন করবে। একইভাবে বাংলাদেশী এয়ারলাইনসগুলোও ঢাকা-দোহা রুটে কেবল ট্রানজিট যাত্রী পরিবহনের জন্য ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। অন্যদিকে যেসব দেশ বাংলাদেশী এয়ারলাইনসকে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেবে না, সেসব দেশের এয়ারলাইনসের ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেবে না বেবিচক।
জানা গেছে, আইকাও ও সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী আন্তর্জাতিক রুটে সীমিত আকারে ফ্লাইট চালুর সব প্রস্তুতি নিয়েছে বেবিচক। ফ্লাইট চালু হওয়ার পর কঠোর বিধিবিধান মানতে হবে যাত্রী ও বিমান সংস্থাসহ সবাইকে। ফ্লাইটে ওঠার আগে কোনো যাত্রীর করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তাছাড়া শরীরে তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা এর বেশি থাকলে তার যাত্রা বাতিল হয়ে যাবে। বিমানবন্দরের টার্মিনালে একাধিক ফ্লাইটের যাত্রীরা একসঙ্গে থাকতে পারবেন না। প্রতিটি ফ্লাইটে ওঠার আগে যাত্রীদের বোর্ডিং পাস নেয়ার পর নির্ধারিত এলাকার মধ্যেই থাকতে হবে।
এছাড়া অন্য নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকেই মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে; যাত্রীদের বিমানবন্দরে আসার আগেই মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে; টার্মিনালে প্রবেশের পর যাত্রীরা যে এয়ারলাইনসে যাবেন, তারাও নতুন গ্লাভস ও মাস্ক সরবরাহ করবে; বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে; প্রত্যেক যাত্রীকে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ফরম পূরণ করতে দেয়া হবে; দূরের ফ্লাইটে খাবার দেয়া হতে পারে; একই সঙ্গে উড়োজাহাজের ধারণক্ষমতার সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ যাত্রী প্রতিটি ফ্লাইটে থাকবেন, এর বেশি যাত্রী নেয়া যাবে না; সার্জিক্যাল মাস্ক অথবা মানসম্মত মাস্ক, ক্যাপ প্রতিটি ফ্লাইটের ক্রুদের পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে; কেবিন ক্রুদের এন-৯৫ মাস্ক, চশমা, রাবারের হ্যান্ড গ্লাভস ও ফেসিয়াল মাস্ক পরতেই হবে; হ্যান্ড গ্লাভস ও মাস্ক প্রতি ৪ ঘণ্টা পরপর বদলাতে হবে; তাদের ককপিটে প্রবেশ যতটা সম্ভব কমিয়ে ইন্টারকমে যোগাযোগ করতে হবে; যাত্রাবিরতিতে কেবিন ক্রুরা কোনো হোটেলে অবস্থান করলে ওই হোটেলের রুমেই খাবার খেতে হবে; প্রয়োজনে ওই হোটেলের ভেতরের রেস্টুরেন্টে খাবার খাবেন; হোটেলের বাইরে যেতে পারবেন না।
গত ১ জুন থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল চালুর অনুমতি দিয়েছে বেবিচক। তবে আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহনের (শিডিউল প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট) ক্ষেত্রে ১৫ জুন পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আগের মতো বাহরাইন, ভুটান, হংকং, ভারত, কুয়েত, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলংকা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বিদ্যমান বিমান চলাচল রুটের ক্ষেত্রে কার্যকর।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রথম দফায় ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী সব বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে এ সময়সীমা আরো সাতদিন বাড়িয়ে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এ নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী সময়ে ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।