Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

তারেকের প্রতি সরকার ক্ষুব্ধ-ক্রুদ্ধ তারেকই ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনেতা : বিএনপি

প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মিথ্যা মামলায় যতোই সাজা দেয়া হোক না কেনো তারপরও তারেক রহমানই দেশের রাষ্ট্রনেতার ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে করে বিএনপি
গতকাল দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এদেশে অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদ নানা সময়ে আদালতের অভিযুক্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, আবার জনগণের রায়ে জনগণের নেতা হয়েছেন, রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় যতো সাজা দেয়া হোক না কেন আগামী দিনে তিনিই রাষ্ট্রনেতা। জনগণের নেতার ভূমিকা পালন করবেন। তাই তারেক রহমান এই সরকারের আতঙ্ক।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস মহানগর উত্তর-এর উদ্যোগে ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সাজা ও সন্ত্রাস-উগ্রবাদ নির্মূলে জাতীয় ঐক্যের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারেক রহমান দক্ষ একজন সংগঠক, তারেক রহমান একজন নেতা। তার ব্যক্তিগত কোনো দোষ নাই। দোষ হলো তিনি জনপ্রিয়, দোষ হলো তিনি বিএনপির নেতা। দোষ হলো- বাংলাদেশে একজন মাত্র নেতা আছেন, যার পিতা ছিলেন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, আর মা ছিলেন জনগণের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। আর কেউ নাই বাংলাদেশে এমন মানুষ।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যাতে যোগ্য প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন, বিএনপির নেতৃবৃন্দ যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সে জন্য নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। তারেক রহমানকে দিয়ে সেটা শুরু। আমরা বলে দিতে চাই, পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন হয় যখন যোগ্য প্রার্থী লাগে না। তারেক রহমান বা অন্য কাউকে অভিযুক্ত করে যদি সরকার মনে করেন, নির্বাচনে জেতার পরিবেশ হয়ে যাচ্ছে- এটা ভুল, ভুল। আপনাদের (আওয়ামী লীগ) বিরুদ্ধে যারাই দাঁড়াবে, তারাই জিতবে। কারণ আপনাদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মানুষ, ক্রুদ্ধ জনগণ।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সরকার চায় না উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, অবাধ নির্বাচনের কোনো দাবি এই সরকার মানবে না। কিন্তু নির্বাচন করতেই হবে। আর সেটা হলো মিথ্যা মামলায় যে কোনো প্রকারে দুই বছরের বেশি সাজা দিতে হবে। তাহলে সাজা শেষ হওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে আর নির্বাচনে অংশ নেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ মনে করছে বিএনপির এখন যারা সিনিয়র নেতা আছেন, বিএনপির যোগ্য প্রার্থীরা আছেন, তাদের যদি নানাভাবে অভিযুক্ত করে সাজা দেয়া যায়, তাহলে তো সরকারি দলের নির্বাচনে পাস করে আসার সম্ভাবনা বাড়ে।
তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এই সরকারের দুর্নীতি-অনাচার সীমাহীন। সরকার একটার পর একটা অপরাধ করে চলেছে। পত্রিকার পাতা খুললে দেখি, প্রতিদিন নানা ঘটনা ঘটছে। যে তথ্যমন্ত্রীর চাকরিই হলো বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেয়ার জন্য, তার আর কোনো কাজ নাই। সেও দেখলাম বলেছে যে, যে পরিমাণ সাহায্য দেয়া হয়, গম দেয়া হয়, তার ৫০ ভাগই এমপি সাহেবরা খেয়ে ফেলেন।
সংগঠনের সভাপতি আরিফুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাসাস সভাপতি এম এ মালেক, সাবেক এমপি রাশেদা বেগম হীরা, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলামসহ জাসাস নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তারেকের প্রতি সরকার ক্ষুব্ধ-ক্রুদ্ধ তারেকই ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনেতা : বিএনপি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ