পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিদেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্তে¡ও দেশের ফল ও সবজি রফতানিতে ধস নেমেছে। এর মধ্যে ফল রফতানিতে আয় কমেছে দুই-তৃতীয়াংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমানের কার্গো নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ থেকে পচনশীল এ সব পণ্য সরাসরি পরিবহনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ভিন্ন কোনো দেশে রিস্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে এ সব পণ্য রফতানি করতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন খরচ বেশি লাগছে, অন্যদিকে কার্গো বিমান পরিবর্তনকালে অধিক সময় ক্ষেপণে এ সব পণ্য নষ্ট হচ্ছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মহল থেকে ছাড়পত্র না পাওয়াও অন্যতম কারণ।
ইপিবির তথ্য অনুসারে, ২০১১-১২ অর্থবছরে ফুল রফতানিতে আয় ছিল ৫ কোটি ৪ লাখ মার্কিন ডলার। পরের বছরই তা কমে দাঁড়ায় ৪ কোটি ১৪ লাখ ডলারে। এখন তিন বছর ব্যবধানে তা প্রায় তলানিতে নেমে এসেছে। অর্থাৎ সর্বশেষ ২০১৫-১৬ বছরে ফুল রফতানি হয়েছে মাত্র ৪৭ লাখ ডলার। চার বছরে রফতানি আয় কমেছে গ্রায় ৯০ শতাংশ।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ফল রফতানিতে আয় হয়েছে ৭ কোটি ১৮ লাখ ডলার। পরের বছর থেকেই তা কমতে থাকে। আর শেষ হওয়া অর্থবছরে তা নেমে আসে ২ কোটি ২ লাখ ডলারে। অর্থাৎ তিন বছরে আয় কমেছে প্রায় ৭২ শতাংশ। অথচ ২০১৪-১৫ অর্থবছরেও আয় ছিল ৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। সর্বশেষ বছরেই কমেছে ৪৭ শতাংশ।
জানা গেছে, বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশে রফতানি হয় বাংলাদেশের ৫০ জাতের সবজি ও ফল। এর ৮০ শতাংশই যায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। বিশেষ করে যেসব দেশে বেশি বাঙালি ও বাংলাদেশি রয়েছেন। সেসব দেশের বাজারে একটু বেশিই কদর বাংলাদেশের সবজির। তবে দেশের বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, রফতানিকারকদের অসচেতনতা ও সংশ্লিষ্ট মহলের গুরুত্ব না পাওয়ায় এসব বাজার হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে সবজি রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফ্রুটস, ভেজিটেবলস এলাইড প্রোডাক্টস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফভিএলপিইএ) নেতারা বলেছেন, কয়েকটি দেশে কার্গো পরিবহন সমস্যায় রফতানিতে কিছুটা বাধা পড়েছে। তবে সমস্যা অন্যখানেও। ফল রফতানিতে সংশ্লিষ্ট মহল ছাড়পত্র দিচ্ছে না। তারা বলেন, আমদানিকারক দেশের কোনো সমস্যা না থাকলেও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর (ডিএই) থেকে সার্টিফিকেশন দিচ্ছে না। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে পাউন্ডের দরপতন, বাংলাদেশে বেশি দামে পণ্য কেনা ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে বছর বছর রফতানি কমে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।