পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলার কৃষি দ্রæত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশ কৃষিতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করছে। সর্বশেষ সাফল্য চাল উৎপাদনে তৃতীয় শীর্ষ দেশ ইন্দোনেশিয়াকে টপকিয়ে ৩য় স্থান দখল করেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে সবজি উৎপাদনেও বিশ্বে শীর্ষ ৩য় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এটি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের গর্ব ও অহঙ্কারের ব্যাপার। বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। গতকাল (শনিবার) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস উইং) ড. আলহাজ উদ্দিন আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মহাদুর্যোগ করোনার মধ্যেও কর্মবীর কৃষকরা নিরলস পরিশ্রম করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে দৃষ্টান্তস্থাপন করে চলেছেন।
কৃষি বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদের কথা, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের শতকরা ৭৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষির সঙ্গে জড়িত। বিশাল এই সেক্টরের দিকে সরকার বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছে। কৃৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট ও মৃত্তিকা সম্পদ ইন্সটিটিউটসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের মোট আবদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৫ লাখ ৭৭ হাজার ৫শ’ ৫৬ হেক্টর। আরো প্রায় লক্ষাধিক হেক্টর পতিত জমি আবাদের আওতায় এসেছে এই করোনার মধ্যে।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, কৃষিই হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি। বাাংলাদেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে আশানুরূপ উন্নতি হয়েছে। এখন দরকার ফুড ম্যানেজমেন্ট ও আধুনিক বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা। মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, মাঠের যেসব সমস্যা আছে তা নিরসন করে কৃষক ও সামগ্রিক কৃষির উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ নিলে বাংলার কৃষিতে আরো বিপ্লব ঘটবে।
সাতক্ষীরার কলারোয়ার ইসলামপুর ব্রজবক্স গ্রামের ইউসুফ আলী সরদার, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার একতারপুর গ্রামের হাসান মজনু ও যশোরের শার্শার বাবুল আকতারসহ মাঠের সাধারণ কৃষকদের কথা, ধান ও চাল উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ তৃতীয় স্থানে পৌঁছানোর খবরে নিঃসন্দেহে আমরা খুবই খুশি। রোদেপুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মাঠে কাজ করা কৃষকদের কষ্ট সার্থক হয়েছে।
তাদের কথা, এখন বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার দরকার কৃষিপণ্যের উপযুক্ত মূল্য যাতে কৃষকরা পান সেদিকে। তাদের কথা, কর্মবীর কৃষকরা রাজনীতি ও অর্থনীতির ঘোরপ্যাঁচ বা মারপ্যাঁচ বোঝেন না। কৃষকদের কোন পেনশন নেই, নেই অবসর কিংবা ছুটিছাটা। দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন কৃষাণ ও কিষাণীরা। ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, গত ৬ বছরে বাংলাদেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনের হার বেড়েছে। মোট জনসংখ্যার শতকরা ৭৫ ভাগ এবং শ্রমশক্তির ৬০ ভাগ কৃষিতে নিয়োজিত। বাংলাদেশে কৃষক পরিবারের সংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ৮শ’ ৪টি। তাদের শতকরা প্রায় ৬০ ভাগই প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।