এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরাও
আজ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। লিঙ্গ সমতার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি
নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের মানববন্ধনে দাবি
তাহমিনা বেগম
দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সরকারের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। গত সোমবার গুলশানে জঙ্গি হামলা এবং নৃশংস হত্যাকা-ের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, আজকে ওদের মারবে, কাল আমাকে আপনাকে মারবে। কেউই এই জঙ্গিবাদের ভয়াল থাবা থেকে রেহাই পাবেন না। দেশটা না থাকলে আমাদের কোন রাজনীতি কোন কাজে আসবে না। যেকোন মূল্যে আমাদের দেশটাকে রক্ষা করতে হবে। যে জঙ্গিবাদ ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়েছে তা নির্মূলে দেশের প্রতিটি মানুষকে মানবিকতা শিক্ষা দিতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সপ্তাহে একটি বাড়তি ক্লাস করানোর পরামর্শ দিয়ে নাসিমুন আরা বলেন, ‘সপ্তাহে অন্তত একটি বাড়তি ক্লাস নেয়া হোক, যেখানে শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেম, নারীর প্রতি সম্মানবোধ ও মাদকের কুফল সম্পর্কে জানানো হবে। জঙ্গি দমনে সরকারকে ঢিলেঢালাভাবে কাজ করলে হবে না, দেশকে বাঁচাতে হলে শক্ত হাতে তা প্রতিরোধ করতে হবে। পেশাজীবী নারী সমাজের সভাপতি মাহফুজা খানম বলেন, যে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা হয়েছে সেখানে জঙ্গিবাদের ঠাঁই হবে না। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। এদের মদদদাতা, অর্থদাতাদের খুঁজে বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক। তিনি বলেন, এদেশের ১৬ কোটি মানুষ অতন্দ্র প্রহরীর মতো একজোট হয়ে দাঁড়িয়ে জঙ্গিবাদ নির্মূল করবে। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই জঙ্গিবাদ নির্মূলে বিশেষ ট্রাইনব্যুনাল গঠন করা হোক। এদেশের নারীদের পক্ষ থেকে প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যে ভূমিকা রেখেছে জঙ্গিবাদ নির্মূলেও তা ভূমিকা রাখবে। প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যে অগ্রযাতার অংশ হিসেবে নারীরা কাজ করছে জঙ্গিবাদ নির্মূলে তাদের এ উদ্যোগে আমি সংহতি প্রকাশ করছি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে জাতীয় কনভেনশন ডেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজ নিজেদের কঠোর অবস্থান ঘোষণা করবে। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, আমাদের সকলকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবাদের মোকাবেলা করতে হবে।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী জঙ্গিবাদের প্রতিবাদে সাহসী পদক্ষেপ নেয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থান ঘোষণা করে বলছি, ধর্মের নামে যারা মানুষ হত্যা করে তারা শুধু ধর্মের শত্র নয়, এরা মানবতার শত্র, নারীর উত্থানের বড় শত্র। তিনি আশা প্রকাশ করেন নারী সাংবাদিকরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে জঙ্গিবাদ বিরোধী অবস্থান ধরে রাখবেন। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদের অর্থদাতা, মদদদাতা, যোগানদাতাদের বিচারে প্রয়োজনে জঙ্গিবাদ বিরোধী ট্রাইব্যুনাল গঠন করে এদের বিচার করতে হবে। মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন কলামিস্ট মমতাজ লতিফ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কোষাধ্যক্ষ আকতার জাহান মালিক, সদস্য তাসকিনা ইয়াসমিন, সদস্য রাবেয়া বেবি, সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদস্য মাশরেখা মনা, শাহনাজ সিদ্দিকী, নাসরীন শওকত, ইহিতা জলিল, শামসুন্নাহার, মাহমুদা আক্তার, তাহমিনা আকতার, আনজুমান আরা শিল্পী, শাহনাজ বেগম, দিলরুবা খান, রীতা নাহার, নাসরীন সুলতানা, শরীফা বুলবুল, উম্মুল ওয়ারা সুইটি প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।