Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলো বর্ষবরণের দিন

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নববর্ষে নবরূপে সাজিয়ে তুলতে গ্রামীণ ইউনিক্লোর বৈশাখী কালেকশ

নববর্ষে উজ্জীবিত নবরূপে- এই অভিব্যক্তিকে ধারণ করে নববর্ষে ক্রেতাদের জন্য গ্রামীণ ইউনিক্লো নিয়ে এসেছে নতুন বৈশাখী কালেকশন। বৈশাখের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মোটিফে ও রংয়ের সংমিশ্রণে ডিজাইন করা হয়েছে বৈশাখের কালেকশনগুলোর। প্রতিটি উৎসব আর উপলক্ষকে উপজীব্য করে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে মানানসই পোশাক ডিজাইন ও বাজারে ছাড়ে জাপান এবং এশিয়ার ১নং পোশাকের ব্র্যান্ড ইউনিক্লোর বাংলাদেশী সামাজিক ব্যবসায় ব্র্যান্ড গ্রামীণ ইউনিক্লো। তারই ধারাবাহিকতায় বৈশাখের এই অনন্য কালেকশন নিয়ে এসেছে গ্রামীণ ইউনিক্লো। বৈশাখের বিভিন্ন পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১২৯০ টাকায়। পাজামা পাওয়া যাচ্ছে ৮৯০ টাকায়। মেয়েদের কামিজ পাওয়া যাচ্ছে ১৬৯০ টাকা করে সাথে লেগিংস পাবেন ৩৫০ টাকা, পালাজ্জো পাচ্ছেন ৭৯০ টাকা করে। এছাড়াও পাওয়া যাচ্ছে শার্ট, পোলোশার্ট, জিন্স, টি-শার্ট, বক্সার ব্রিফস, ট্যাংটপসহ আরও অনেক কালেকশন। গ্রামীণ ইউনিক্লোর বর্তমানে ১২টি শাখা আছে। গ্রামীণ ইউনিক্লো আউলেট লোকেশন: বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, ধানমন্ডি সাইন্সল্যাব মোড়, কাটাবন মোড়, খিলগাঁও তালতলা, নয়াপল্টন, মিরপুর-১, মোহাম্মদপুর রিংরোড, ধানমন্ডি মেট্রো শপিংমল, যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক রোড, ওয়ারী র‌্যাংকিন স্ট্রিট এবং গুলশান-বাড্ডা লিংকরোডে। গ্রামীণ ইউনিক্লো প্রতিষ্ঠা থেকেই তিনটি উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশের সকল মানুষের মাঝে ব্যতিক্রমী পোশাকের মাধ্যমে আনন্দ ও সন্তুষ্টি প্রদান করা। ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশের সামাজিক সমস্যাগুলোর সমাধান করা। সামাজিক ব্যবসায় প্রসারের জন্য সকল মুনাফা পুনঃবিনিয়োগ করা।
অরা বিউটি লাউঞ্জে বৈশাখী প্যাকেজ

বাংলা নববর্ষকে রাঙ্গিয়ে দিতে নগরীর বেইলী রোডে অবস্থিত অরা বিউটি লাউঞ্জ নিয়ে এসেছে মাত্র ১২০০টাকায় বৈশাখী প্যাকেজ। শুধুমাত্র নববর্ষের দিনটিতে এই প্যাকেজ সেবা পাওয়া যাবে। প্যাকেজে থাকছে বৈশাখী মেকআপ, শাড়ি পরা ও চুল বাধা। এছাড়াও পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে অরা বিউটি লাউঞ্জের যেকোন হেয়ার ট্রিটমেন্ট গ্রহন করলে হেয়ার কাট পাবেন একদম ফ্রিতে। অরার নিয়মিত আয়োজনে রয়েছে হেয়ার রিবন্ডিং, ব্রাইডাল মেহেদী, ব্রাইডাল ফেসিয়াল, গেøা এন্ড শাইনিং ফেসিয়াল, পার্টি মেকআপ, ফেসিয়াল, মেনিকিওর-পেডিকিওর, হেয়ার কাটিং এন্ড স্টাইল, হেয়ার কালারিং, ফুট মাসাজ সহ রূপচর্চার আরো নানান সেবা।
দিনভর কর্মসূচী
বাঙালি সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখ আবহমানকাল ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে আমাদের বাঙালি মনে। বৈশাখ মানেই নতুন বছর, নতুন আনন্দ, উৎসব, উদ্ভাস ও উদ্যমতা। এই দিনের পাগলা হাওয়ায় সর্বত্র চলে নানা আয়োজন মেলা। পরিকল্পনামাফিক যদি তাকে বরণ করাসহ কিছু টিপস মনে রাখতে পারি তাহলে পুরো প্লানটাই সুন্দরভাবে উদযাপন করা যাবে। সারা দিনের জন্য বের হলে হালকা নাস্তা করে আরামদায়ক পোশাক পরবেন। সাজটাও হালকা হলে ভালো হয়। অতিরিক্ত সাজ ও আঁটসাঁট পোশাক পরে সারা দিন ঘোরাঘুরি করা যায় না। তাই ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক পোশাক পরাই ভালো। জুতাটা অনেক হিল না পরে অনেকক্ষণ হাঁটা যাবে এ ধরনের আরামদায়ক ও হালকা ¯িøপার পরাই ভালো। বৈশাখের সকালে বের হওয়ার পূর্বে ব্যক্তিগত পার্সটি দেখে নিন। সকালে তাহাহুড়া না করে রাতেই ঠিক করুন কোন পোশাকটি পরবেন। তার সাথে কসমেটিক, চুড়ি, জুতা ইত্যাদি বিষয়গুলো একসাথে গুছিয়ে রাখুন। কাঁধের ব্যাগটিতে চিরুনি, আয়না, পর্যাপ্ত টিস্যু, মোবাইল, চার্জার, বেশ পরিমাণে ভাংতি টাকা ও বড় নোটের টাকা, ক্যামেরা, লিপস্টিক, ছাতা, পানির বোতল, হালকা কিছু খাবার, ফল ইত্যাদি বিষয়গুলো ঢুকিয়ে রাখুন। অতিরিক্ত রোদ ও ভিড়কে এড়িয়ে চলুন। সাথে যদি বাচ্চা বা বয়স্ক কেউ থাকেন তাহলে যতটা সম্ভব ছায়াতে হাঁটবেন। লোকজন বেশি হলে পুরনো চাদর বা কয়েকটি পেপার নিয়ে যাবেন। এতে যেখানে খুশি সেখানেই বসতে পারবেন। বাইরের খোলা পানি ও খাবার যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলুন। প্যাকেটের খাবার খাওয়ার আগে মেয়াদ দেখে নিন। হাতব্যাগটিতে প্রয়োজনে প্রেসার ও ব্যথার ওষুধ এবং স্যালাইন ঢুকিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে আপনার বা অন্যদের কাজে লাগবে। এ সময় প্রচুর পানি ও পানি জাতীয় খাবার খাবেন। এতে ক্লান্তিবোধ দূর হয়। অনেক বাচ্চা বড়রাও ফুল দেখলেই ফুল কিনতে চান, সেক্ষেত্রে ফুলগুলো ভালো করে দেখে নিন। কেননা তাতে অনেক সময় পোকারও বাস থাকে। সেজন্য সাবধান। একটু অসাবধানতা যেন পুরো আনন্দটাই মাটি না হয়ে যায়। এ সময় নানা মেলাতে হরেকরকম বিভিন্ন জিনিস পাওয়া যায়। নিজের প্রয়োজনে বা ঘর সাজাতে এ ধরনের বৈশাখী উপকরণগুলো কিনতে পারেন। আবার অন্যদেরকেও দিতে পারেন উপহার হিসেবে। এতে বৈশাখের আনন্দ ও অন্যদের খুশি করার আনন্দ দুটোই উপভোগ করা যাবে। বৈশাখে যারা বাড়িতে থাকবেন বৈশাখকে উপলক্ষ করে যারা বাসাবাড়িতে থাকবেন তাদেরও চাই মানসিক প্রস্তুতি। বাসাতে ব্যবহৃত কাপড় পরে ও হালকা লিপস্টিক, চুলে কিছু ফুল, হালকা ফেসপাউডার পোশাকের সাথে ম্যাচিন করা চুড়ি, কপালে টিপ, আঙ্গুলে দু-চারটি আংটি গুঁজে দিয়ে দেখুন আপনাকে বেশ লাগবে। কোনো কারণে যদি মন খারাপ থাকে তবে ওই দিনের জন্য অবশ্যই হাসিমুখে থাকার চেষ্টা করবেন। কেননা আপনার হাসিমাখা মুখের ওপর ঘরের অন্যান্য সদস্যদের ভালো থাকা নির্ভর করছে। ঘরকে একটু বৈশাখী রূপে সাজাতে চেষ্টা করুন। রান্নাতেও বাঙালি বৈশাখী খাবার রাখার চেষ্টা করুন। খাবার টেবিলে মাটির তৈরি হানকি, বাটি, জগ, ফুলদানি, গøাস, মগ, ল্যাপসহ নানা কিছু দিয়ে সাজিয়ে আনতে পারেন ভিন্নরকম বৈচিত্র্যতা। সারা দিন বাসায় থাকার পর বিকালে যদি পারেন একটু আশেপাশের মেলা থেকে ঘুরে আসুন। তাতে অন্যরকম ভাল লাগবে। বাইরে বের হওয়ার পূর্বে লাইট, ফ্যান, চুলাসহ অন্য সুইচগুলো অফ কিনা অবশ্যই দেখে নিন। দরজা-জানালাগুলো বন্ধ করে যাবেন। কেননা বৃষ্টির পানি ঘরে প্রবেশ করতে পারে। ঘরের সমস্ত কিছু লক করা আছে কিনা দেখে নিন। একটু সাবধানতায়ই বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
আনন্দ-উল্লাসে পহেলা বৈশাখ বরণ

ঐতিহ্যগত আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে ১ বৈশাখ বরণ করে নেয়া হয়। সংস্কৃতির ধারাবাহিকতায় গ্রামে শহরে সর্বত্র যেন সাজ সাজ রব। আর এত আনন্দ-উল্লাসের পিছনে রয়েছে গৃহকর্ত্রীর নানা রকম আয়োজন আর এত সব কাজ সবই কিন্তু গৃহিণীকে একাই সামলাতে হয়। তাই ১ বৈশাখে আপনি কি কি আয়োজন করতে চান, কোথায় বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে যেতে চান তার একটা পরিকল্পনা আগে থেকেই করে নিন। এতে করে প্রচÐ গরমের মধ্যে এই আনন্দ-উল্লাসের দিনটি উদযাপন সহজ হবে। * দুপুরে ছেলেমেয়ে এবং গৃহকর্তার রুচি অনুযায়ী খাবারের তালিকা সাজাবেন। গৃহকর্তার সামর্থ্যরে দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে। * দুপুরে ভাত, মাছ, সজনে ডাল কিংবা পোলাও মাংস রান্না করতে পারেন। কাঁচা আমের চাটনি রাধুন। * রান্নার আইটেম অনুযায়ী বাজার সদাই আগেই করে কেটে ধুয়ে ফ্রিজে গুছিয়ে রাখবেন। * কোথায় বেড়াতে যাবেন ঠিক করে নিন। বৈশাখী মেলায় ঘণ্টা দু’য়েকের জন্য সময় বেড় করে ঘুরে আসুন। * পাতলা সুতি পোশাক পরিধান করুন। * বেড়াতে যাবার সময় খাবার পানির বোতল এবং ছাতা রাখুন।
য় শারমিন সুলতানা নূপুর



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন