পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের কৃষকের ক্ষতি হয়েছে ৫৬ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এসব কৃষকের ৯৫ শতাংই এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। খাতভিত্তিক হিসাব করলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিরা। টানা দু’মাসের ছুটিতে দেশের কৃষকদের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত বন্ধ থাকা এবং দেশের খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে ব্র্যাকের গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ বিষয়ে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ব্র্যাকের গবেষণাদলের সদস্য নাহরিন রহমান স্বর্ণা।
করোনা ভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার কৃষকদের যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে তা কৃষকবান্ধব, কৃষকের উৎপাদিত পণ্য সরকার কিনে ওএমএস এর মাধ্যমে বিক্রি ও ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করা এবং মানসম্পন্ন বীজ দিয়ে সহায়তা করারও প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক।
সারাদেশের সব কৃষক ও খামার বিবেচনায় আনলে কৃষকের আয় কমেছে ৫৬ হাজার ৫৩৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। পোল্ট্রিখামারিদের তিনজনের দু’জনই জানিয়েছেন তাদের আয় কমেছে। খাতওয়ারি হিসাব করলে মাছচাষিদের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রতি তিনজন কৃষকের একজন বলেছেন তাদের আয় কমে গেছে। চারটি সাব সেক্টরে গড়ে আয় কমেছে ২ লাখ ৭ হাজার ৯৭৬ টাকা।
কৃষকদের ক্ষতি, বাজার বন্ধ থাকা এবং দাম কমে যাওয়া- এসব চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণের জন্য আসলে কি উদ্যোগ নিয়েছেন কৃষকরা। ৪২ শতাংশ কৃষক কিছুই করতে পারেননি। দেড়মাসে বাজারের এত পরিবর্তন হয়েছে যে তারা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগই পাননি। ২২ শতাংশ কৃষক তাদের সঞ্চয় থেকে খরচ করেছেন এবং উৎপাদন করেছেন। এতে ভবিষ্যতে আরও বেশি ঝুঁকির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। ১১ শতাংশ কৃষক খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন। ২ শতাংশ কৃষক উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছেন। ৯৫ শতাংশ কৃষক এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি কোনো ধরনের খাদ্য সহায়তার আওতায় আসেনি। ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা অনিশ্চয়তায়। ৮২ শতাংশ কৃষক মনে করেন এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে না। সমস্যা চলমান থাকলে তারা কী করবেন জানতে চাইলে ৪১ শতাংশ কৃষক বলেছেন তারা ঋণ নেবেন বিভিন্ন উৎস থেকে। ১৮ শতাংশ কৃষক তাদের সঞ্চয় পুঁজি করে জীবনধারণ করবেন। ১৮ শতাংশ আসলে জানেনই না উৎপাদনবিমুখ হতে হলে তারা কী করবেন। ১৪ শতাংশ কৃষকের আয়ের অন্য উৎস রয়েছে।
৬৮ শতাংশ কৃষক সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা চান। ৫৬ শতাংশ চান তাদের পণ্যম‚ল্য আগের অবস্থায় ফিরে যাক। ৪৮ শতাংশ কৃষক চান কম এবং ন্যায্যমূল্যে সার এবং কীটনাশক পেতে পারেন। বারবার দেখা যাচ্ছে ঋণের প্রতি কৃষকের একটি চাহিদা রয়েই যাচ্ছে।
৬৪ শতাংশ কৃষক জেনেছেন তাদের জন্য সরকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। আবার ৭৯ শতাংশ কৃষক জানেন না কীভাবে এই প্যাকেজ থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ১৫৮১ জন কৃষকের ৩৯ শতাংশের কোনো ব্যাংক হিসাব নেই। এবং ৭১ শতাংশ বর্গাচাষি বা ভূমিহীনের কোনো ব্যাংক হিসাব নেই। ২০ শতাংশ কৃষকের আগে ঋণ পৃঃ ৫ কঃ ৪
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।