পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রহস্যজনকভাবে ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির (ডিবিসিসিআই) সভাপতি মো: হাসান খালেদ নিখোঁজ হয়েছেন।
এ ব্যাপারে গতকাল রোববার সকালে ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন নিখোঁজের পরিবার। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট মো: হাসান খালেদ গত শনিবার থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। থানায় সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) তার পরিবার বলেছেন, তিনি বাসা থেকে বের হয়ে নিচে ওষুধ আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন। জিডিতে বলা হয়েছে, গতকাল বাসা থেকে বের হওয়ার পর তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ।
ওই ব্যবসায়ীর নিখোঁজের ব্যাপারটা একটু রহস্যজনক। তিনি নিখোঁজ হয়েছেন অফিসে যাওয়ার পথে। তাই তাকে কেউ অপহরণ করেছে বলেই সন্দেহ করছে পরিবারের সদস্যরা। প্রতিষ্ঠিত এই ব্যবসায়ী ডিবিসিসিআই সভাপতি খালেদের বাসা ধানমন্ডির ৪/এ এলাকায়, বাসা নম্বর ৪৫। এ বাসা থেকেই বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
ওসি নূরে আজম জানান, শনিবার রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিনি নিখোঁজ হন। তার অফিস ৫২/১ নিউ ইস্কাটনের হাসান হোল্ডিংয়ের অষ্টম তলায়। এরপরই রাতে তার শ্যালক শরিফুল আলম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত শনিবার সকাল থেকেই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সারাদিন খোঁজ না পেয়ে রাতে থানায় জিডি করা হয়। ব্যবসায়ী হাসান খালেদ পরিবার নিয়ে ধানমন্ডির বাসায় থাকেন। সে বাসার নিচ থেকেই নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। এ দাবি তার পরিবারের।
পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে নাশতা করার আগে ওষুধ খেতে হয় নিখোঁজ ব্যবসায়ী হাসান খালেদকে। নাশতার টেবিলে বসে দেখেন ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের বলেন, নিচে ওষুধ আনতে যাচ্ছি। একথা বলেই খালেদ নিচে নেমে যান। আর বাসায় ফেরেননি তিনি।
দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খালেদের মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর থেকেই পরিচিত ও আত্মীয়স্বজনের কাছে খোঁজ নেয়া হয়। সারাদিন খোঁজ না পেয়ে রাতে থানায় জিডি করা হয় স্বজনদের পক্ষ থেকে।
তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, সকালে নাশতা করেই অফিসে যাওয়ার কথা ছিল হাসান খালেদের। সারাদিন অফিসে না যাওয়ায় উৎকণ্ঠা বেড়ে যায় তাদের।
এ বিষয়ে ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিবিসিসিআই) কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে কর্মকর্তারা জানান, আমাদের সভাপতি হাসান খালেদ একজন সদালাপি নিরহঙ্কারী মানুষ। তার কোনো শত্রু আছে বলে আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তার সঙ্গে ব্যবসায়িক বা লেনদেন সংক্রান্ত কোনো সমস্যাও হয়নি কারো সঙ্গে। হাসান খালেদের মতো ব্যবসায়ী নিখোঁজ হওয়ায় আমাদের উদ্বেগ বেড়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।