পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে পাসপোর্টের বায়োমেট্রিক নেয়া বন্ধ ঘোষণা করেছে পাসপোর্ট অধিদফতর। ফলে সব ধরনের নতুন পাসপোর্ট কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেল। এরই মধ্যে ঢাকা ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতসহ দেশের সকল আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে খুবই সীমিত আকারে রিইস্যু কার্যক্রম চলবে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্ত সূত্রে এ সব তথ্য জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, পাসপোর্টের বায়োমেট্রিক কাজ বন্ধ করা হয়েছে। করোনাভাইরাস মূলত হাত থেকেই বেশি ছড়ায়। বায়োমেট্রিক করতে হাতের ছাপ নিতে হয়। এতে করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে অন্যদের করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা থাকে। এ জন্যই পাসপোর্টের বায়োমেট্রিক কাজ বন্ধ করা হয়েছে। তবে খুবই সীমিত আকারে রিইস্যু চলমান রয়েছে। কারণ রিইস্যু কাজে বায়োমেট্রিক দরকার হয় না।
এক প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা জানান, সম্প্রতি সময়ে পাসপোর্টের প্রধান কার্যালয় ও বিভাগীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসেও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনায় জানানো হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নতুন পাসপোর্টের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। মূলত করোনার সংক্রামক ঠেকাতেই নতুন পাসপোর্টের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তাছাড়া বর্তমান পরিস্থিতি পাসপোর্ট অফিসে কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতি কম থাকায় রিইস্যু পাসপোর্ট বেশি নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
পাসপোর্ট অধিদফতরের আরেকজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, নতুন পাসপোর্ট দেয়ার ক্ষেত্রে পাসপোর্ট গ্রহীতার ছবি তোলা, ফিঙ্গার প্রিন্ট, আইরিশ পিকচারসহ বেশ কিছু কার্যক্রম রয়েছে, যেগুলো নিয়ে গ্রহীতাকে সরাসরি অফিসে আসতে হবে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন করার সময় করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ই-পাসপোর্ট ও এমআরপি দুই ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট আবেদন বন্ধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে বসবাসরত বিদেশি যাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে বা হয়ে যাচ্ছে, তাদের ভিসার আবেদন করার প্রক্রিয়া চালু রয়েছে।
মালিবাগের ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, তিনি ৩/৪দিন আগে আগাগাঁও পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন পাসপোর্ট রিইস্যু করার জন্য। কিন্তু পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েদিয়েছেন, করোনাভাইরাসের সময় পাসপোর্ট রিইস্যু করা সম্ভব নয়, পরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি একজন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করে চিকিৎসার জন্য সুযোগ ফেলে দেশের বাইরে যাব, এ জন্য পাসপোর্ট রিইস্যু করা প্রয়োজন। তখন ওই কর্মকর্তা জানান এখন অফিনে কর্মকর্তার উপস্থিতিও কম, আর যারা আসছেন তারাও উর্ধ্বন কর্তৃপক্ষের নির্দেশের বাইরে খুব একটি কেউ কাজ করছেন না বলে জানানো হয়।
বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর জানায়, সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে পাসপোর্ট অধিদফতরের কার্যালয়গুলো খুললেও পাসপোর্ট প্রদানের বিষয়ে অধিদফতরের পক্ষ থেকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনায় বলা হয়, নতুন পাসপোর্টের আবেদন এবং বায়ো-এনরোলমেন্ট বন্ধ থাকবে। যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ এখনও ছয় মাসের বেশি রয়েছে তাদের পাসপোর্ট রিনিউ/রি-ইস্যু আপাতত বন্ধ থাকবে। এদিকে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে পাসপোর্টের আবেদন করে এখনও পাসপোর্ট পাননি-এমন অনেক ভুক্তভোগী প্রতিনিয়ত ভিড় করছেন পাসপোর্ট অধিদফতরে।
আহমেদ নূর নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, আমি গত ১৩ নভেম্বর পাসপোর্টের আবেদনপত্র জমা দিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট-ছবিসহ বায়ো-এনরোলমেন্ট করে আসি। ¯িøপে পাসপোর্ট ডেলিভারির কথা বলা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর। তবে সর্বশেষ ৪ জুন পর্যন্ত পাসপোর্ট হাতে পাইনি। মেসেজে পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চাইলে দীর্ঘদিন ধরে ‘পেন্ডিং ফর পাসপোর্ট পারসোনালাইজেশন’ লেখা দেখাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চে আগারগাঁও পাসপোর্ট গিয়ে খোঁজ করলে তারা জানান, তিন দিন পর দিয়ে দেবে। তবে জুনেও পাসপোর্ট হাতে পাইনি। অথচ এক দালাল ১৫০০ টাকার বিনিময়ে তিন দিনে প্রিন্ট করে দেবেন বলে আমাকে জানান। এছাড়া আমার পরিচিত অনেকেই দালাল ধরে ডেলিভারির তারিখের আগেই পাসপোর্ট নিয়ে নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।