পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজ বাসাতেই কোয়ারেন্টিনে আছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাসায় আইসোলেশনে থেকে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর কদিন আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন জ্বর-সর্দিতে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের উপসর্গের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় পরীক্ষাও করেছেন। ফলাফল এসেছে কোভিড-১৯ নেগেটিভ। তবে তিনি নিজে আক্রান্ত না হলেও পরিবারের এক সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই সতর্কতার জন্য কোয়ারেন্টিন মানছেন তিনি।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আলী নূও ইনকিলাবকে বলেন, আমি অসুস্থ আছি। কিন্তু করোনা আক্রান্ত নই। এমনিতেই ঠান্ডা-জ্বর। বাসাতেই আছি। কোয়ারেন্টিনে আছি। কারণ আমার পরিবারের একজন সদস্য আক্রান্ত। ভয়ের কোনো কারণ নেই। তিনিও ভালো হয়ে উঠছেন।
সচিব বলেন, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যক্তিগত সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আমাদের সকলেরই সচেতন থাকা উচিত। আমার কারণে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদেন মো. আলী নূর। এর আগে তিনি সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৯৮৬ (অষ্টম) ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। ১৯৮৯ সালে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বাসায় আইসোলেশনে থেকে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। উপসচিব আব্দুল ওয়াদুদ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন অধিশাখায় কর্মরত ছিলেন। রোজার মধ্যে সচিবালয়ে তিনি অফিস করেছেন। গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, এ বিভাগের তিন-চারজন কর্মকর্তা কোয়ারেন্টিনে আছেন। অপরদিকে, জনপ্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের অন্তত ৯০ জন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন বেশ কয়েকজন।
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকের এনেক্স ভবনের চতুর্থ তলার একাংশ অবরুদ্ধ করা হয়েছে। রাজউকের স্থাপত্য শাখার কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ এবং রাহাত মুসলেমিনের আক্রান্তের পর অবরুদ্ধ করা হয়। রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান এম বজলুর করিম চৌধুরী মারা গেছে। একজন কর্মচারী আবু সাইদ মারা গেছে। এছাড়া বিভিন্ন দফতরের ১২-১৫ জন কর্মকর্তা বাসায় কোয়ারেন্টিনে আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।