পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের নির্বাহী পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জুমার খুতবায় সরকার হস্তক্ষেপ করছে না। বাংলা বয়ানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অনুরোধ করা হচ্ছে। খুতবা ও বয়ান যে এক নয়, বিষয়টি জনগণকে বোঝাতে হবে। এ বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথায়ও পরিষ্কার হয়েছে। এরপরও কিছু মন্ত্রী ও আমলা ইমামদের হুমকি দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানের বেশ কিছু ইমামকে হেনস্তা করা হয়েছে। নোয়াখালীতে ইমামকে আওয়ামী লীগ নেতারা মারপিট করেছে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ইমামদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এক ইমাম শারীরিক অসুস্থতার জন্য ছুটি নেয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি সরকারি খুতবা পাঠ করার ভয়ে ছুটি নিয়েছেন। দেশের ইমাম-খতিবদের উপর অহেতুক জুলুম বন্ধ করুন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিন। খুতবা নিয়ন্ত্রণ করবেন না। বয়ান ও খুতবা স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিন। আল্লাহের গজবকে ভয় করুন। গতকাল এক বিবৃতিতে ইমাম খতিব ঐক্যপরিষদের নেতবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে পরিষদ সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুফতি আহমদুল হক বলেন, দাঁতের ডাক্তার জাকির নায়েক যেমন ইসলামী বিষয়ে ফতোয়া দেয়ার অধিকার রাখেন না তেমনি ইফা ডিজি জজ শামীম আফজালেরও অধিকার নেই খুতবা তৈরি করে তা বাধ্যতামূলক করার। দেশের ৫ লাখ মসজিদের ইমাম-খতিবরা খাঁচায় বন্ধী ময়না পাখি নন যে, তারা সরকারের শেখানো বুলি আওড়াবেন। হাজার বছর ধরে তারা স্বাধীনভাবে কোরআন সুন্নাহর বিষয়বস্তু জাতির সামনে বয়ান করে এসেছেন। এতে বিধি-নিষেধ আরোপের শক্তি কোনো সরকারেরই ছিল না, এখনো নেই। মসজিদ চলবে আল্লাহর বিধানে, রাসূলের নিয়মে। এখানে ক্ষমতার দাপট দেখালে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। বিবৃতিতে খুতবা নিয়ন্ত্রণ করা হবে না-এ ঘোষণা দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।