পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ আক্রান্ত হলে জনগণ সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে : দেশপ্রেমিক যুবশক্তি
স্টাফ রিপোর্টার : গণমাধ্যমে সংবাদটি দেখে উদ্বিগ্ন হলাম। ভারতের এক বিধায়ক (প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য) ভারতকে বাংলাদেশ আক্রমণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার যখন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না তখন দিল্লির উচিত বাংলাদেশকে আক্রমণ করা, যুদ্ধ করে বাংলাদেশ দখলে নিয়ে নেয়া ইত্যাদি। একজন ভারতীয় আইনপ্রণেতা ও রাজনীতিকের মুখে এমন দায়িত্বহীন কথা শুনে আমরা হতবাক। বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত। বাংলাদেশ কারো সাথে শত্রুতা রাখে না। সবার সাথে বন্ধুত্বই বাংলাদেশের নীতি।
তবে একটা কথা স্মরণ রাখতে হবে, বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়। এটি ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত দেশ। এ দেশে কোনো হামলা হলে, বিদেশি সৈন্য প্রবেশ করলে দেশ্রপ্রেমিক জনগণ ঘরে বসে থাকবে না। তারা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ১৬ কোটি মানুষ দেশ রক্ষায় জীবনপণ সংগ্রাম করবে। বিশেষ করে ৯২% ভাগ মুসলমান ঈমানী চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে স্বাধীনতা ও সার্বভৌত্ব রক্ষার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়বে। দেশ আক্রান্ত হলে ৫ লাখ মসজিদ থেকেই ইমামরা জিহাদের ডাক তথা মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা ও সশস্ত্র প্রতিরোধের আহ্বান জানাবেন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি মসজিদের মাইক হবে বাংলাদেশ রক্ষার জাগরণী বার্তার মাধ্যম। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিধ্বনিই হবে মাতৃভূমির রক্ষাকবচ। যার যা আছে তাই নিয়েই শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে। এ অমোঘ বাণী যে জাতির কানে বাজছে তাদের স্বাধীনতা কেড়ে নিতে পারে এমন শক্তি পৃথিবীতে নেই। গতকাল দেশপ্রেমিক যুবশক্তির যুগ্ম আহ্বায়ক/ইঞ্জিনিয়ার মোসাদ্দেক বিল্লাহ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। তিনি ভারতীয় বিধায়কের এ মন্তব্যের যথাযথ প্রতিবাদ জানানোর জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।