Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঋণ সহায়তা চায় বারভিডা

পুরনো গাড়ি বেচাকেনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২০, ১২:১১ এএম

চলমান মহামারীর সঙ্কটের মধ্যে কিছু নীতিগত সহায়তা পেলে আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে পুরনো গাড়ির বেচাকেনা। একই সঙ্গে এই সঙ্কটের সময়েও এর মাধ্যমে সরকারকে প্রায় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। গতকাল এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমন একটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন- বারভিডা।
সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সভাপতি আবদুল হক বলেন, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে বারভিডার আমদানি করা প্রায় আট হাজার গাড়ি ইয়ার্ডে রক্ষিত রয়েছে। সেগুলোর এপ্রিল ও মে মাসের বন্দর ভাড়া মওকু করা হলে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ সহায়তা প্যাকেজে বারভিডার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলে গাড়িগুলো ছাড় করা সহজ হবে। এতে শুল্ক ও কর বাবদ স্বল্পতম সময়ে সরকার এক হাজার কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বারভিডার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম আনোয়ার সাদাত, সাইফুল ইসলাম সম্রাট ও জসিম উদ্দিন মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
সরকার মহামারীকালীন সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনারের জন্য বন্দর ভাড়া মওকুফ করেছিল। যেহেতু বন্দর দুই মাস বন্ধ ছিল, আমদানি করা গাড়িগুলো ছাড় করার ক্ষেত্রে ওই দুই মাসের জন্য বন্দর ভাড়া মওকুফ করতে সরকারকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছে বারভিডা।
সংগঠনটির সভাপতি বলেন, করোনা মহামারী থেকে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে সরকার বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে মোট ৫০ হাজার কোটি টাকার যে ঋণ সুবিধা দিয়েছে তাতে বারভিডা একটি ট্রেডিং সংগঠন হিসেবে সুবিধা পাচ্ছে না। ঋণ সুবিধায় বারভিডাকে বিশেষ বিবেচনায় অন্তর্ভুক্ত করে এ খাতের জন্য নির্দিষ্টভাবে ৫০০ কোটি টাকার একটি ঋণ সহায়তা প্যাকেজ দেওয়া যেতে পারে।
একটি আমদানি করা পুরান গাড়ি বিক্রি হলে তার মোট মূল্যের প্রায় দুই তৃতীয়াংশই শুল্ক ও কর বাবদ সরকারি তহবিলে জমা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রামে বারভিডার ৮৭০ সদস্যের প্রায় ২০০টি শোরুমে চার হাজারেরও বেশি গাড়ি রয়েছে। এছাড়া মোংলা এবং চট্টগ্রাম বন্দরে রয়েছে আট হাজার গাড়ি। এ খাতে বিনিয়োগ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। সরকার বার্ষিক রাজস্ব পায় তিন কোটি টাকারও বেশি।
মহামারীর ফলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকলেও ব্যবসায়ীদেরকে তাদের শোরুম, অফিস ভাড়া বহন করতে হচ্ছে এবং কর্মচারীর বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে লোকসান হয়েছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ