Inqilab Logo

রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণ হবে পাল্টে যাবে অর্থনৈতিক চেহারা

প্রকাশের সময় : ২৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যশোর থেকে রেবা রহমান : ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উদ্বোধনের সময় ঘোষণা দিয়েছিলেন উৎপাদনমুখী জনবল সৃষ্টি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে যশোরে আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা হবে। সেই থেকে যশোরের নতুন প্রজন্ম স্বপ্ন দেখতে থাকে। দীর্ঘদিন পর স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। স্বপ্ন পূরণ হবে শিক্ষিত বেকারদের। সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কটিতে কমপক্ষে ১৬ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যশোর শহরের নাজির শংকরপুর এলাকায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় সাড়ে ৯ একর জমি ও জলাধারের ওপর প্রকল্পের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। চলতি বছরের শেষে অথবা আগামী বছরের প্রথমে পার্কটির উদ্বোধন হবে। এতে শুধু যশোর নয়, দক্ষিণ-পশ্চিমের (খুলনা বিভাগ) ১০ জেলার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দেবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাপ্রকাশ করেছেন। শেখ হাসিনা আইটি পার্ক প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) জাহাঙ্গীর আলম গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, কম্পিউটারের সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ফ্রি-ল্যাঞ্চিং, কল সেন্টার ও রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট- এ চারটি সেক্টরে দেশ-বিদেশের আইটি (তথ্য ও প্রযুক্তি) শিল্প উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের সুযোগ পাবেন। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পার্কটি চালু হলে আইটি খাতে উদ্যোক্তারা এখানে ব্যবসা করবেন। দেশ-বিদেশের স্বনামধন্য সব সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা হবে যশোর শেখ হাসিনা আইটি পার্কে।জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিজ্ঞান এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে প্রধানমন্ত্রীর তৎকালীন একান্ত সচিব-১ নজরুল ইসলাম খান চিঠি পাঠান। দীর্ঘদিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল এই পার্কের আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করা হয়। গত ৯ জুন যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের নামকরণ করা হয় ‘শেখ হাসিনা আইটি পার্ক’। ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রকল্পের মূল ভবন ভূমিকম্প প্রতিরোধক কম্পোজিট স্ট্রাকচারে (স্টিল ও কংক্রিট) নির্মিত হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য ৩৩ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন স্থাপন করা হবে এবং রাখা হবে দুই হাজার কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর। প্রথম দফায় ১৫তলা ভিত্তির ওপর পাঁচতলা ভবন নির্মিত হচ্ছে। আইটি পার্কেও প্রকল্প পরিচালক আরো জানান, ইতিমধ্যে জাপান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানি শেখ হাসিনা আইটি পার্ক ব্যবহারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। গত ৯ জুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাপানের দুটি কোম্পানিসহ বাংলাদেশের ১০টি কোম্পানিকে পার্কের জায়গা বরাদ্দ দেন। প্রকল্প পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে বিপুল শিক্ষিত বেকার যুবসমাজ রয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এখানে লাগাতে পারলে গার্মেন্ট শিল্পের মতো আইটি খাতও অর্থনৈতিকভাবে বিশ্বে লিড দিতে পারবে। কেননা আইটি খাতে আমাদের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এই পার্কে কাজ করতে আসা ১৬ হাজার কর্মীর চোখের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য পার্কের মূল ভবনের সামনে পাঁচ একরের একটি বিশাল জলাধার থাকছে। যেখানে স্বচ্ছ পানিতে ছাড়া হবে দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির মাছসহ জলজপ্রাণি। থাকবে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা। প্রকল্পের নকশায় এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ইকো ট্যুরিজম পার্ক’। এছাড়া মূল ভবনের দক্ষিণ পাশে থাকবে সবুজ বেষ্টনী। যেখানে কর্মীদের পায়ে হাঁটার জন্য আঁকা-বাঁকা পথ থাকবে। যার নাম রাখা হয়েছে ‘গ্রিন জোন’।ধ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নতুন প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণ হবে পাল্টে যাবে অর্থনৈতিক চেহারা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ