পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো ধরনের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকা- আমরা বাংলার মাটিতে হতে দেব না। মানুষের শান্তি নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করব। এটা মাথায় রেখেই আমাদের কাজ করতে হবে। এই জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ যে নামে, যেভাবেই আসুক না কেন, তাদেরকে আমাদের দমন করতেই হবে এবং সেটা আমরা করব। আমি বিশ্বাস করি, অবশ্যই আমরা তা পারব। তা যে পারি, সেটা বিশ্বকে আমরা দেখিয়েছি।
গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের হত্যা করে জিম্মি অনেককে উদ্ধারের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আমি মনে করি, বাংলাদেশ বোধহয় পৃথিবীতে একমাত্র দেশ ১০ ঘণ্টার মধ্যে সেই জঙ্গি দমন করে অনেক হোস্টেজ, তাদের জীবনকে রক্ষা করতে পেরেছি। এই ধরনের ঝামেলা মোকাবেলায় সরকারের ‘দ্রুত পদক্ষেপ’ নেয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে ‘জনপ্রশাসন পদক ২০১৬’ বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩০ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই পদক বিতরণ করেন। জনপ্রশাসনমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচ. এম. আশিকুর রহমান এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরীও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ দমনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের প্রভু হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন এবং সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত নিষ্পত্তিতে আন্তরিক হবার আহ্বান জানান।
ধর্মের নামে জঙ্গিবাদী তৎপরতার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ খুন করে (কেউ যদি মনে করে থাকে) বেহেশতে গিয়ে হুরপরি পাবে, তা কখনও হবে না। এটা মোটেই ইসলামের শিক্ষা না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা যারা স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে এবং মাঠপর্যায়ে যারা আছেন, তারা ধর্মের প্রকৃত যে শিক্ষা, সেই শিক্ষাটা যেন মানুষ পায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরির স্বার্থে চাকরি নয়, জনগণের জন্য কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সরকারি কর্মীদের অনেক উন্নতি করে দেয়া হয়েছে। কাজে মনযোগ দিলে আগামীতে আরও উন্নতি হবে।
সেবার মনোভাব নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দিয়েছি। ১২৩ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করেছি। আমরা যে বাজেট বা কর্মসূচি হাতে নেই তা যেন দ্রুত বাস্তবায়ন হয়, এটিই চাই। এজন্য কর্মচারীদের আরও এগিয়ে যেতে হবে। শুধু চাকরির স্বার্থে চাকরি নয়, জনগণের জন্য কাজ করা পবিত্র দায়িত্ব, সে হিসেবে কর্মসম্পাদন করতে হবে।
তিনি বলেন, প্রশাসনের কর্মচারীদের সম্মানজনক পদবি ছিল না, কর্মচারীদের পদবি পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রত্যেকটি পদের নাম পরিবর্তন করে সম্মানজনক পদবি আমরা দিয়েছি। আমরা প্রায় সর্বক্ষেত্রে এটি করেছি, সরকারি এবং বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই।
সরকারি কর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা নানামাত্রিক প্রশিক্ষণে জোর দিয়েছি। বিশ্ব প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আজকের বিশ্ব প্রতিযোগিতামূলক। প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে আমাদেরও তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আর এতে প্রশিক্ষণের ওপর আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জনগণের দোরগোড়ায় সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, সব সময় আপনাদেরকে এটাই মনে রাখতে হবে যে জনগণের সেবা করতে হবে। জনগণের সেবা করাটাই প্রকৃত দায়িত্ব। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এসেছি। এর মধ্যে কর্মসম্পাদন করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। যেসব কর্মসূচি হাতে নিয়েছি সেগুলোর বাস্তবায়ন যেন দ্রুত হয় সেটাই আমরা চাই। পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে ‘দক্ষতার’ পরিচয় দেয়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদও দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বাংলাদেশ সৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা তুলে ধরে স্বাধীন বাংলাদেশে ‘দক্ষ সিভিল সার্ভিস’ গড়ে তুলতে জাতির জনকের নেয়া পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মেধা বিশ্বের কোনো দেশের চেয়ে কম নয়। তিনি বলেন, আরেকজনের ভালো আমরা সহ্য করতে পারি না। এ থেকে আমাদেও বেরিয়ে আসতে হবে। এই পুরস্কার দেয়া হলো একটি ভালো উদ্যোগ। যা কাজে উন্নতি বাড়াবে। যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী পদক নিলেন এটি তাদের মেধা, সৃষ্টিশীলতার মূল্যায়ন বলে মনে করি। তবে আমরা অনেকেই মনে করিÑ বিসিএস পাস করে সরকারি কর্মীরা মেধাহীন, তারা কিছু পারেন না। এই ভ্রান্ত ধারণা আমাদের সৃষ্টি হয়ে গেছে। তবে বিশ্বের কোনো দেশের চেয়ে আমাদের কর্মীদের মেধা কম নয়। এ সময় সৈয়দ আশরাফ এমন একটি আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উৎসাহের কথা উল্লেখ করেন এবং তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রহিমা খাতুনকে (প্রশাসন) ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন পদক-২০১৬ (সাধারণ) তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি কাজের ডিজিটালাইজেশনে জনপ্রশাসন পুরস্কার সাধারণ (দলগত) অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উপসচিব জাহিদ হোসেন পনির, সহকারী পরিচালক (বিসিএস অ্যাডমিন একাডেমি) জিএম সরফরাজ, সহকারী পরিচালক (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) তন্ময় মজুমদার ও সহকারী প্রোগ্রামার মো. মোতাহার হোসেন। গভার্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (জিআইইউ)-এর পক্ষে মহাপরিচালক মো. আবদুল হালিম প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা সফটওয়ার তৈরির জন্য সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী, অনলাইন রেডিও নারায়ণগঞ্জ চালু এবং সফলভাবে পরিচালনায় কারিগরি ক্ষেত্রে (দলগত) জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান মিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহিন আরা বেগম, সহকারী কমিশনার জয়া মারিয়া পেরেরা ও সহকারী কমিশনার ফারহানা আফসানা চৌধুরীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
টেকনিক্যাল ফিল্ডের প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (পিএমও) কবির বিন আনোয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
জেলা পর্যায়ে ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে (সাধারণ) আরও পুরস্কার পেয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও রাজীব কুমার সরকার, দামুড়হুদার ইউএনও মো. ফরিদুর রহমান এবং পঞ্চগড় সদর উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা মো. মামুন কবির।
পুরস্কারপ্রাপ্তির তালিকায় আরও আছেন সড়ক ও জনপথের (সওজ) যুগ্ম সচিব এবং ফেনীর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার, ‘ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট’ প্রকল্পের সমন্বয়ক এবং ফেনীর সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. এনামুল হক, পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তর ফেনীর উপ-পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ফেনী সদরের ইউএনও পিকেএম এনামুল করিম, ফেনী সদরের লেমুয়া ইউনিয়নের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ফেনী চুনুয়া ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক পরিদর্শক মীর আজম হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং রংপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক ফরিদ আহমেদ, এডিসি (রাজস্ব) রংপুর মোস্তাইন বিল্লাহ, এডিসি (রাজস্ব) শেরপুর এবং রংপুর পীরগঞ্জের সাবেক ইউএনও এটিএম জিয়াউল ইসলাম, দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের ইউএনও এবং সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
জঙ্গিদের মদদদাতা ও অর্থদাতাদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে
স্টাফ রিপোর্টার জানান, জঙ্গিদের অর্থদাতা ও মদদদাতা যত ক্ষমতাশালীই হোক না তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জঙ্গিদের মদদদাতা সে কে এটা আমি দেখতে চাই না। তাদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি দমনে সারা বিশ্ব বাংলাদেশের সঙ্গে আছে।
শনিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে গুলশান ক্যাফে আলোচিত জঙ্গি হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ করছে। আমরা সতর্কতা ও সচেতনতা অবলম্বন করছি। কোথা থেকে তারা (জঙ্গিরা) অর্থ ও অস্ত্র পেল। কারা হামলা করতে উৎসাহিত করল। সব বের করতে পারব। জনগণের শক্তি বড় শক্তি। তদন্তের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, জঙ্গিদের মরদেহগুলো এখনো রয়ে গেছে। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যেগুলো দেশে সম্ভব সেগুলো দেশে হচ্ছে, বাকিগুলো বিদেশে। কীভাবে ঠা-া মাথায় নিষ্ঠুরভাবে মানুষ হত্যা করে তা বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ জুলাই গুলশানে যে জঘন্য হামলা হয়েছে তা কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে সম্ভব না। মেয়েগুলোর উপর যেভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে, কাঁটা চামচ দিয়ে খোঁচানো হয়েছে, ঠা-া মাথায় এভাবে কেউ করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুলশানে জঙ্গি হামলায় অনেকের ধারণা ছিল সুনাম ক্ষুণœ হবে। কিন্তু জঙ্গি দমনে বিশ্বের প্রায় সব দেশ সরকারের সঙ্গে আছে। জঙ্গি দমনে সরকারের সঙ্গে তারা একাত্মতা পোষণ করেছেন।
জঙ্গি কার্যক্রমে বিপথগামী তরুণদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। এর মধ্য দিয়ে যারা প্রকৃত মুসলমান তাদের বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। মুসলমানদের বিশ্বের মানুষ ঘৃণার চোখে দেখে। আমরা অন্যের কাছে ছোট হয়ে যাই।
কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরো বলেন, খুনিদের যে শাস্তিÑ তাদেরও সে শাস্তি হবে। ইহকালে ধরা পড়লেও শাস্তি পাবে। পরকালেও শাস্তি পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আল্লাহু আকবার বলে রোজার মাসে তারাবীহের নামাজের সময় মানুষ হত্যা করে, তারা বেহেশতে নয়; দোযখে যাবে। এমন শাস্তি পাবে, নিশ্চয়ই তারা (পরকালে) উপলব্ধি করতে পারছে।
জঙ্গিবাদ দমনে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী এবং সাড়া পাচ্ছেন বলেও তিনি জানান। এ সময় সন্তানদের উপর নজর রাখতে অভিভাবকদের অনুরোধ করেন। শিক্ষকদের আহ্বান জানান, শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষা দিতে।
শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচি, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনসহ আরো বেশকিছু দিবসভিত্তিক কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।