পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বঘোষিত প্রতিবন্দী অর্থমন্ত্রীর অপসারণ দাবি
স্টাফ রিপোর্টার : সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ দমনের নামে ইহুদি মার্কিনীসহ যেকোন রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী প্রবেশ ঠেকাতে হবে। কারণ সন্ত্রাস দমনে আমাদের দক্ষ যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট। বিদেশি সেনার প্রয়োজন নেই। সন্ত্রাস দমনের নামে বিদেশি সেনা প্রবেশ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকির কারণ। দেশের চলমান ধর্মহীন শিক্ষানীতি-২০১০ এবং হিন্দুত্যবাদী পাঠ্যসূচি দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের মানসিকতা সরানো যাবে না। আর এ কারণে সন্তানদেরকে ধর্মশিক্ষা দেওয়ার প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান কার্যকর করাও সম্ভব হবে না। তাই ইসলাম বর্জিত পাঠ্যসূচি অবিলম্বে বাতিল করে ইসলামী ধারার পাঠ্যসূচি চালু করতে হবে। আর তখন শিক্ষার্থীরা এবং যুবক শ্রেণি জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হবেনা। কারণ ইসলামে বলা আছে “যার হাত ও জবান থেকে অপর মুসলমানও নিরাপদ নয়, সে মুসলমান নয়”।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ দেশে আইএস তৈরীর ইহুদী আমেরিকা ও তাদের এদেশীয় এজেন্ট জামাতে ইসলামীর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে, এদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম দখলের আমেরিকান খায়েশ রুখে দেয়ার জন্য ওলামা লীগ সর্বাত্মক জনমত গড়ে তুলবে। নেতৃবৃন্দ স্বঘোষিত প্রতিবন্দী অর্থমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের ভাষায় স্বর্গে বাস করছে। তারপরেও গয়েশ্বর মার্কা হিন্দু নেতা সুরঞ্জিত, রানাদাসগুপ্ত, পিজুসগংরা এদেশে হিন্দু নির্যাতনের গলাবাজী করছে। অথচ কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনী বর্বর নির্যাতন চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্বেগ প্রকাশ ও চাপ প্রয়োগ করতে হবে। কারণ, কাশ্মীর ভারতের অংশ নয়। কাশ্মীরের হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন, “জম্মু কাশ্মীর কখনো ভারতের অংশ ছিলো না এবং এখনো এর অংশ নয়।” ভারতের গবেষকরাও একথা স্বীকার করেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ ও সমমনা ১৩ ইসলামি দল কর্তৃক আয়োজিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এসব দাবি করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠাম-লীর সদস্য খন্দকার মাওলানা গোলাম মাওলা নকশবন্দী, বিশেষ অতিথি বঙ্গবন্ধু ‘ল’ কলেজের প্রিন্সিপাল অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আনোয়ার হুসাইন, সভাপতিত্ব করেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মাওলানা মুহম্মদ আখতার হুসাইন বুখারী, (পীর সাহেব, টাঙ্গাইল), সভাপতি- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ কাজী মাওলানা মুহম্মদ আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী সাধারণ সম্পাদক- বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ, আলহাজ হাফেজ মাওলানা মুহম্মদ আব্দুস সাত্তার, সভাপতি- সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ। আলহাজ মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফেয়ী, সভাপতি-বঙ্গবন্ধু ওলামা ফাউন্ডেশন, মাওলানা মুহম্মদ শওকত আলী শেখ ছিলিমপুরী, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি, মাওলানা মুজিবুর রহমান চিশতি হাফেজ মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী, ডা. সাইফুদ্দীন মিয়াজি, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুর রহিম (পীর সাহেব), মাওলানা মুহম্মদ শেখ শোয়াইব গোপালগঞ্জী, ক্বারী মাওলানা মুহম্মদ আসাদ প্রমূখ।
মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, পাঠ্যপুস্তকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনী মুবারক এবং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের বর্ণনা এবং ইসলামী আদর্শ ও মূল্যবোধের আলোকপাত নেই বলেই শিক্ষার্থীরা ইসলাম থেকে দূরে সরে সন্ত্রাসবাদে দীক্ষিত হচ্ছে। এর অবসান ঘটাতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মোসাদের সাথে জড়িত উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী ও গয়েশ্বর মার্কা হিন্দু এবং জামাত-জোট এজেন্ট- যারা এদেশে আইএস সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে চায়, বিশেষ করে বর্তমানে ‘সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা হিন্দু নির্যাতন করছে’ বলছে এবং ‘বর্তমান সরকারের আমলে বেশি হিন্দু নিপীড়ণ হচ্ছে’ অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের কঠোরভাবে প্রতিহত করতে হবে। পাশাপাশি কাশ্মীরসহ সারা ভারতে যে অবর্ণনীয় মুসলিম নির্যাতান চলছে সরকারকে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাতে হবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, যে আমেরিকা বাংলাদেশে আইএস আছে বলে প্রচার করছে তারা নিজেরাই আইএস তৈরির মূলহোতা ও অস্ত্র সরবরাহকারী। সেটা মার্কিন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার স্বীকার করেছে এবং বিভিন্œ আন্তর্জাতিক মিডিয়া তা প্রমাণ করেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পাক-ভারত যুদ্ধের সময়ে ঘোষিত শত্রু সম্পত্তি এখন রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি। অর্পিত সম্পত্তির মোড়কে এটা কারো তুলে দেয়া যাবে না। ভারতে শত্রু সম্পত্তি এখনো মুসলমানদের ফেরত দেয়নি। অবিলম্বে অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল করতে হবে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করতে হবে।
নেপালে ভারতীয় টিভি চ্যানেল, চীনে পর্ণগ্রাফী বন্ধ পারলে বাংলাদেশেও তা বন্ধ করতে হবে। পিস টিভি বন্ধের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, একই কারণে পিস টিভি মতাদর্শের জামাতি মালানা তারেক মনোয়ারের মতো মাওলানাদের টিভি চ্যানেলে প্রোগ্রাম ও সব মাহফিল নিষিদ্ধসহ উস্কানী দেয়ার জন্য তাদের গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি পিস স্কুল, পিস পাবলিকেশন, ইউটিউব ভিডিও বন্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যেসব মিডিয়ার হঠকারীতায় বিডিআর বিদ্রোহ এবং গুলশান হত্যাকা- পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা হয়েছে তাদের এবং যেসব মিডিয়া ও মিডিয়াকর্মী সন্ত্রাসীদের সাথে গোপন সম্পর্ক রাখে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং সে সব মিডিয়ার লাইসেন্স বাতিল করতে হবে। কৃষকের উপর কর আরোপ এবং কৃষকের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করে আখ চাষ বন্ধ করণের অর্থমন্ত্রীর খায়েশ প্রতিহতসহ ধান চাষ ও ফসল উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।