পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাভারে ব্যবসায়ীর বাড়িতে পুলিশের তা-ব
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : শুক্রবার রাত আনুমানিক ৮টা। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছিল। হঠাৎ বাড়ির সামনের রাস্তায় একটি গাড়ি থামার শব্দ। পরক্ষণেই কয়েকজন পুলিশ ভিতরে ঢুকে লাঠি দিয়ে জানালা দরজা ভাংচুর শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ বাড়ির মালিক লালমিয়া মাদবরের ছেলে মোশারফের ঘরের ভিতর ঢুকে পড়ে। এসময় মোশারফ হোসেন ঘরে না থাকায় তার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েকে এক কাপড়ে টেনে হিঁচড়ে বাসা থেকে বের করে দেয়। প্রায় আধা ঘন্টাব্যাপী তল্লাশীর নামে ঘরের আলমারী, শোকেস, ওয়ারড্রপসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে তা-ব চালায়। বাড়ির প্রত্যেকটি কক্ষ তছনছ করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে থাকার ঘর ও বাড়ির মূলফটকে তালা লাগিয়ে দেয় সাভার মডেল থানার এসআই শামসুল হক সুমন। এসময় তার সাথে ছিল এমদাদুল ও উজ্জ্বলসহ তিন কনস্টেবল। সকলেই খুব উত্তেজিত ভাষায় কথা বলছিল। বাড়ির সকলকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগানোর একপর্যায়ে মোশারফ হোসেনের ছোট ছেলে স্থানীয় এ্যাবাক স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র আজিম এসআই শামসুল হক সুমনকে বলেন, স্যার বইগুলো নিতে দেন, কালকে আমার পরীক্ষা। তখন ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বই নিতে হবেনা, তোর পরীক্ষাও দিতে হবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এরপর বৃষ্টি ভেজা অবস্থায় কাঁপতে কাঁপতে পরনের শার্ট নিতে চাইলেও এসআই বলেন, খালি গায়েই থাক।
সরেজমিনে শনিবার পৌর এলাকার নামাগেন্ডা মহল্লায় গেলে শিক্ষার্থী আজিম কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা বলেন।
ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, আমার বাড়ির এক ভাড়াটিয়ার কাছে অনেকেই টাকা পাবে। বিষয়টি নিয়ে সবাই আমাকে ধরলে আমি টাকাগুলো পরিশোধ করে আমার বাসা ছেড়ে দিতে বলি। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটিয়া মিরাজ আমার মেয়েকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে প্রাণ নাশেরও হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি জানিয়ে সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (নং-৯৯১) করা হয়।
বিষয়টি জানার পর মিরাজ আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে সাভার মডেল থানার এসআই শামসুল হক সুমনকে নিয়ে এসে আমার বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
মোশারফ হোসনে আরো অভিযোগ করেন, বাড়ীর এক ভাড়াটিয়ার সাথে বাক-বিত-ার জেরে ওই ভাড়াটিয়ার একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে মীমাংসার কথা বলে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন পরিবারের লোকজনের কাছে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন।
কিন্তু দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এসআই সুমন কয়েকজন পুলিশ ও বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী নিয়ে বাড়ীতে অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় জানালার কাঁচসহ ঘরের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় ঘরের ভেতরে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারও লুট করে নিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চলে যায় বলেও অভিযোগ করেন মোশারফ। খবর পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই পুলিশ কর্মকর্তাসহ তার সহযোগীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে পুলিশী তা-বের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের এমন আচরণে উত্তেজিত এলাকাবাসী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করে বলেন, পুলিশ যেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেবে সেখানে তারাই কিভাবে হামলা ও লুটপাট চালায়।এ প্রসঙ্গে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক শামসুল হক সুমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।