পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সমাতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। একদিকে প্রাণঘাতী করোনার ভয়াবহ বিস্তার ঘটছে। অন্যদিকে কয়েক কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করছে। এই ধরনের কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের এক দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি এবং চরম অদক্ষতা জাতির জন্য বড় ধরনের দুর্দশা নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, করোনার থাবা থেকে জনগণকে বাঁচানোর পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, করোনার এই মহাসঙ্কটকালেও সরকারের লোকজনের কাছে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ এর চেয়ে ত্রাণ আত্মসাৎ করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়েছে। এই যে লন্ডভন্ড স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ত্রাণ বিতরণে অরাজকতা এরপরও সরকার মেকি আত্মতুষ্টি ভোগ করছে। এই সরকার গত কয়েক বছরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে প্রজাতন্ত্র থেকে জনগণকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের মালিকানা হারিয়েছে।
তিনি বলেন, বৈধতার সংকটের কারণে জনগণ এবং আইনের শাসনের প্রতি সরকারের কোন দায়িত্ব নেই। ফলে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে এবং সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। উন্নয়নের নামে সকল পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে সরকারের লাভের দৃষ্টিকোণ থেকে, জনগণের স্বার্থে নয়।
আ স ম রব বলেন, বিদ্যুতের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিমাসে অপচয় হচ্ছে অথচ এর কোন দায় সরকার বহন করছেনা। সরকারের কর্মকান্ডে মনে হয় এটা এখন রাষ্ট্র নয়, এটা শুধুমাত্র একটা লুটপাটের ভুখন্ড। করোনায় কত কোটি মানুষ নতুন করে দারিদ্র সীমার নিচে নেমে এসেছে সরকার তা প্রকাশ করছেনা। কত শিল্প কারখানায় প্রণোদনা দিতে হবে, কত মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে আর কত মানুষের কর্মসংস্থান করতে হবে, সরকার এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। সরকারের কাছে করোনায় মৃত্যু বা অর্থনৈতিক সংকট কোনটাই প্রধান নয়। প্রধান হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকা।
তিনি বলেন, সরকার শিল্পকারখানা ও কৃষি উৎপাদন রক্ষার উদ্দেশ্যে নয় বরং রাজনৈতিক কারণেই দ্রুত প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। কারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ কত, কি পরিমাণ প্রণোদনা দিতে হবে কোনটারই হিসাব-নিকাশ ছাড়া রাজনৈতিক ঘোষণা দিয়েই দায় সেরেছে। সকল ক্ষেত্রে নির্ভুল পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। সরকারের প্রণোদনা যেন ঋণখেলাপিদের কাছে না চলে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জনগণের অর্থ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।