Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনা: একদিনে দেশে রেকর্ড ২৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬৯৪

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০২০, ২:৩৪ পিএম | আপডেট : ২:৫২ পিএম, ২২ মে, ২০২০

দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩২-এ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৯৪ জন। যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ শনাক্ত। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩০ হাজার ২০৫জনে।

আজ শুক্রবার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনন্দিন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি ৪৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তে আরও ৯ হাজার ৯৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আগের কিছু মিলিয়ে পরীক্ষা করা হয় ৯ হাজার ৭২৭টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ১৬৯৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ২০৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ২৪ জন। যাা এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যু। মৃত্যুর বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে তাদের মধ্যে পাঁচজনের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে, তিনজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, দুইজনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে, পাঁচজনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, দুজনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৩২ জন। মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৮ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬ হাজার ১৯০ জন। সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৪৯।

বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টাইন নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৫০৭ জনকে। এই সময়ে ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ১৯ জন। বর্তমানে কোয়ারান্টিনে আছেন ৫৪হাজার ৯২৩ জন। একই সঙ্গে ২৪ ঘন্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে ২২৫ জনকে। এ সময় ছাড় পেয়েছেন ৬২ জন। এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ২৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪ হাজার ৬০ জন

দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬৬২টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

এদিকে করোনা পরীক্ষার জন্য ১৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে অনুমিত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকাতে ১৪টি, চট্রগ্রামে ২টি এবং বগুড়ায় ১টি প্রতিষ্ঠান।

দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ২২ জনের। সেটা ২১ মে´র বুলেটিনে জানানো হয়। আর সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল এক হাজার ৭৭৩ জনের। ওই তথ্যও জানানো হয় গত ২১ মে´র বুলেটিনে।



 

Show all comments
  • মোঃআল আকরামুল হক ২২ মে, ২০২০, ৩:২৪ পিএম says : 0
    প্রথমে অন লাইন টেস্ট করা প্রয়োজন তারপর অবস্হা বুঝে ব্যাবস্হা নিতে হবে।রোগি তথ্য গোপন করার কারনে অনেকে সংক্রমিত হয়ে আছে উপসর্গ বিহিন।আমার মতে উচি অগ্রাধিকার ভাবে টেস্ট করলে রোগি সংখ্যা অনেক হবে যেমনঃঅতি তাড়া তাড়ি,তাড়া তাড়ি,উপসর্গ বীহিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা ভাইরাস

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৬ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ