পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মায়ের মত নিঃস্বার্থভাবে এবারও সুন্দরবন উপকুলবাসীকে আগলে রাখল ঘুর্ণিঝড় আম্পানের ছোবল থেকে। এই সেই সুন্দরবন যে সিডর, আইলা ও বুলবুল কারো কাছেই হার মানেনি। অপরাজেয় এই বনের কাছে একের পর এক ঘূর্ণিঝড় মাথা নত করেছে।
সূত্রমতে, এক যুগ আগের সিডরের ঝড় গিয়েছিল সুন্দরবনের উপর দিয়ে, যা রক্ষা করেছিল উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। বুলবুলের ক্ষেত্রের ঢাল হয়ে ছিল সুন্দরবন। ঠিক এবারও ঘুর্ণিঝড় আম্পান থেকে উপকূলবাসীকে রক্ষায় বুক উঁচু করে ঢাল হয়ে দাড়িয়ে আছে সুন্দরবন।
সুন্দরবন কতবার যে ঘূর্ণিঝড়, ঝড়, প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছে, তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। অত্যন্ত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে রক্ষায় এবারও বুক পেতে দিল সুন্দরবন।
রূপ কথার দৈত্যের মত সুন্দরবন উপকুলকে আগলে রেখেছে সবসময়। বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ এই ফরেষ্টটি নিজে ক্ষত বিক্ষত হলে উপকূলের তেমন ক্ষতি হতে দেয়নি।
গত বুধবার তীব্র বাতাস, ভারী বৃষ্টিপাত ও উঁচু জলোচ্ছ¡াস নিয়ে উপকূলজুড়ে তাÐব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ১১২ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হেনেছে। প্রায় ৬ ঘণ্টা তাÐব চালিয়ে রাত ১২টার দিকে খুলনা জেলাকে অতিক্রম করেছে আম্পান। সুন্দরবন দিয়ে অতিক্রম করার কারণে আম্পানের তীব্রতা বেশ কিছুটা কম হয়েছে।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির ইনকিলাবকে বলেন, অপরূপ বৈচিত্রের এই মায়ের মত বুক আগলে রেখে আমাদেরকে এবারও রক্ষা করে প্রমান করল সুন্দরবন আর মায়ের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। মা যেমন নিস্বার্থবান সুন্দরবন ঠিক নিজে আহত হয়ে উপকুলবাসীকে বাচিয়ে দিল।
তিনি বলেন, ভারত থেকে আম্পান যে গতি নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল তার প্রভাব সেভাবে পড়তে পারেনি বনের গাছপালায় এই ঝড় বাঁধা পাবার কারণে। ভারতের সুন্দরবনের অংশের চেয়ে বাংলাদেশ অংশে গাছ ঘন থাকায় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাস বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অপেক্ষাকৃত কম গতি নিয়ে খুলনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে।
প্রাথমিকভাবে বন কর্মকর্তারা ধারণা করছেন ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে গাছপালা কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বন্য প্রাণীদের ওপর বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়েনি।
বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মঈনুদ্দিন খান বলেন, আম্পানের প্রভাব সুন্দবনের ভিতর এখন বহমান। এখনো বনের ভিতরে ঝড়ো হওয়া বইছে। আমফানে সুন্দরবনের গাছের ক্ষয়ক্ষতি এই মুহুর্তে পরিপূর্নভাবে নিরুপণ করা সম্ভব না হলেও মাঠ পর্যাযের বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সুন্দরবনের বিভিন্ন কমপারমেন্টালে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক সুন্দরী গেওয়া গরানসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা ভেঙ্গে তছনছ হয়েছে। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেশি ছিলো। এতে সুন্দরবনের ভেতরে থাকা মিষ্টি পানির পুকুরে লবণ পানি ডুকেছে। এটাই বেশি ক্ষতি হয়েছে।
বন সংরক্ষক বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের সামনে বুক পেতে দিয়ে বাংলাদেশকে বাঁচিয়েছে সুন্দরবন। সুন্দরবনে বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে ঝড়ের বেগ অনেক কমে গেছে যার কারণে আল্লাহর রহমতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।