পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এক হাজার রেমডিসিভির ওষুধ প্রদান করেছে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি.। সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের নিকট ওষুধ হস্তান্তর করেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন। বৃহষ্পতিবার (২১ মে) দুপুরে এ ওষুধ হস্তান্তর করা হয়। অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগটির উদ্বোধনও ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর মাধ্যমে দেশে ওষুধটির বাজারজাতকরণও শুরু হলো। তবে এটি ফার্মেসীতে বাজারজাতকরণ নয়; করোনার চিকিৎসায় নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে দেওয়া হবে। রেমডেসিভির জেনেরিক নাম দিয়েছে বেক্সিকো ফার্মা ‘রেমসিভির’। যা বিশ্বের প্রথম জেনেরিক কোম্পানী হিসেবে বেক্সিমকো ফার্মা উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করলো।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ^ব্যাপী কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম কোন ওষুধ হস্তান্তর করায় বেক্সিমকো ফার্মাকে ধন্যবাদ জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ওষুধ গ্রহণকালে জানান, বিশ্বের বহুদেশ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধ আবিস্কারের চেষ্টা করছে। কিন্তু কোথাও কোনো দেশে করোনা রোগীদের শতভাগ সুস্থ করে তোলার মতো ভ্যাকসিন বা ওষুধ উৎপাদন হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশে রেমডেসিভির ওষুধটি কার্যকর হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশেও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ৮টি কোম্পানিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ওষুধ প্রস্তুত করতে প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিয়েছে। এই ওষুধগুলো আরো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বাজারজাত করতে হবে। একই সঙ্গে ওষুধ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে করোনাভাইরাস রোগীদের এই ওষুধে চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
ওষুধের প্রথম ব্যাচ হস্তান্তরের সময় বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, সব সরকারী হাসপাতালে রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হয়। এ কারনে, আমরা করোনার চিকিৎসায় নির্ধারিত সরকারী হাসপাতালের গুরুতর অসুস্থ রোগীদের জন্য বিনামূল্যে বেমসিভির প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোন ফার্মেসিতে সরবারাহ করবে না। একই সঙ্গে এই ওষুধ এখনি বাজারজাত করা হবে না বলেও জানান নাজমুল হাসান পাপন।
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসাম এমপি বলেন, করোনা যুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন এই ওষুধটি আনার ক্ষেত্রে বিশ্বের প্রথম জেনেরিক কোম্পানী হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। নানাবিধ প্রতিকূলতা থাকার পরও নতুন এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার এ ওষুধটি উৎপাদন মূলত যুগান্তকারি আবিস্কার সমূহকে সহজলভ্য করার আমাদের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। সবার সহযোগিতায় স্বল্পোতম সময়ে রোগীদের জন্য এই ওষুধ নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে।
তিনি জানান, মহামারি করোনা পরিপ্রেক্ষিতে, কোভিড-১৯ আক্রান্তদের জন্য বিশ্বের সর্বাধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বেক্সিমকো ফার্মা সক্রিয়ভাবে কাজ করে চলছে। নিজস্ব আধুনিক গবেষনা ও উৎপাদন সক্ষমতার আলোকে, নতুন এই মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে সম্ভাব্য সকল পদক্ষেপ গ্রহনে বেক্সিমকো ফার্মা অঙ্গীকারাবদ্ধ। বেক্সিমকো ফার্মা ইতোমধ্যেই কোভিড-১৯ চিকিৎসায় আরেকটি এন্টি-ভাইরাল ওষুধ ফেভিপিরাভির (ব্র্যান্ড নাম ভিরাফ্লু) এবং কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহৃত ও সম্ভাবনাময় ওষুধ এন্টিম্যালারিয়াল হাইড্রোক্সিক্লোরকুইন (ব্র্যান্ড নাম কোভিসিন) ও এন্টি-প্যারাসাইটিক ইভারমেক্টিন (ব্র্যান্ড নাম ইভেরা) উৎপাদন শুরু করেছে। সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গিলিয়াড সাইন্সেস রেমডেসিভির উদ্ভাবক। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট মার্কেট’র (এআইএম) তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মা বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ওষুধ প্রশাসনের কাছে অনুমোদনের আবেদন করে। ওষুধের অনুমতির জন্য প্রযোজ্য সকল বিধি বিধান অনুযায়ী আবেদনের সকল ধাপ সম্পন্ন করে। পূর্নাঙ্গ পর্যালোচনা শেষে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর আজ বৃহষ্পতিবার জরুরী ব্যবহারের জন্য বেমসিভির ব্র্যান্ড নামে বেক্সিমকো ফার্মার উৎপাদিত রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন এর চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।
উল্লেখ্য, আমেরিকায় উৎপাদিত রেমডেসিভির ওষুধের ন্যায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা উৎপাদিত বহুল প্রতিক্ষীত ওষুধের ব্র্যান্ড নাম বেমসিভির। বেমসিভির নামেই বাজারজাত করবে বেক্সিমকো ফার্মা। এই ওষুধ আপাতত সরকারি হাসপাতালসমূহে চিকিৎসারত ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড-১৯ রোগীদের শরীরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রবেশ করানো হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।