সমুদ্র উপকূলীয় ১২টি জেলার ৪৪টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য ৬৫ দিন মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ বরাদ্দ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিসিদের অনুকূলে এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ কপি পাঠানো হয়েছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রণালয়ের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভিজিএফ চাল আগামী ১৫ জুনের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়ছে। কার্ডধারী এবং সমুদ্রগামী জেলে ব্যতীত এই ভিজিএফ প্রদান করা যাবে না মর্মে বরাদ্দ আদেশে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সমুদ্র উপকূলীয় ১২টি জেলার ৪৪টি উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আওতায় সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত কার্ডধারী প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রতি মাসে ৪০ কেজি হারে ৪২ দিনে মোট ৫৬ কেজি চাল প্রথম কিস্তিতে প্রদান করা হবে।
উপজেলা গুলো হচ্ছে, খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা ও রূপসা, বাগেরহাট জেলার মোংলা, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা, সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি ও শ্যামনগর, চট্টগ্রাম রজলার বাঁশখালী, আনোয়ারা, মিরসরাই, সনদ্বীপ, কর্ণফুলী, সীতাকুন্ডু ও চট্টগ্রাম মহানগরী, কক্সবাজার জেলার সদর, চকরিয়া, মহেশখালী, উখিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, টেকনাফ ও রামু, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, ফেনী জেলার সোনাগাজী, ল²ীপুর জেলার রামগতি, বরগুনা জেলার সদর, পাথরঘাটা, আমতলী ও তালতলী, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, রাঙ্গাবালি ও দশমিনা এবং ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমুদ্দিন ও মনপুরা।