পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আল্লাহর তা‘আলার অশেষ রহমতে রমজানের শেষ দশকের রোজাগুলো আমরা পালন করে যাচ্ছি। একথা সবারই জানা যে, পবিত্র লাইলাতুল কদর পবিত্র রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতে নিহিত। এটি সেই রাত যাতে পবিত্র কুরআন নাজিল করা হয় মানব জাতির হেদায়াতের জন্য এবং যাতে মুত্তাকি হতে পারে।
লাইলাতুল কদরের ফজিলত লাভের আশায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ ইতিকাফ করে থাকেন। করোনাভাইরাসের কারণে এবার সীমিত সংখ্যক মুসল্লি ইতিকাফে বসতে সক্ষম হয়েছেন। এই ইতিকাফ সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব ইন শা আল্লাহ।
আরবি শব্দ ‘ইতিকাফ’ -এর অর্থ অবস্থান করা, বসা, বিশ্রাম করা, সাধনা করা, ধ্যান করা ইত্যাদি। রমজানের ২১তম রাত হতে ২৯তম রাত পর্যন্ত সাংসারিক যাবতীয় ঝামেলা হতে মুক্ত হয়ে মসজিদে ইবাদতের উদ্দেশে অবস্থান করাকে ইতিকাফ বলে।
রমজানের শেষ ১০ দিন মসজিদে ইতিকাফ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা-ই-কিফায়া। মহল্লার কোনো একজন ব্যক্তি ইতিকাফ পালন করলে সবার পক্ষ হতে আদায় হয়ে যায়। কেউ যদি ইতিকাফ না করেন তবে সবাই সুন্নাত ত্যাগের জন্য দায়ী থাকবে। প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) পবিত্র মাহে রমজানের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করতেন।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসের শেষ ১০ দিন ইতিকাফ করবে, সে ব্যক্তি দুটি হজ ও দুটি ওমরাহর সমান সওয়াব হাসিল করবে।’ (বায়হাকি) মহানবী (সা.) আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি ইবাদতের নিয়তে সওয়াবের আশায় ইতিকাফ করবেন তার যাবতীয় গুনাহ মাফ হয়ে যায়।’ (দায়লামী)। রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সারাজীবনে একদিন হলেও ইতিকাফ করবেন, কিয়ামতের দিন দোজখ তার কাছ থেকে ১৫শ’ বছর পথ দূরে থাকবে।’
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : ইতিকাফের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো, ‘লাইলাতুল কদর’ অনুসন্ধান করা। যে ব্যক্তি পবিত্র মাহে রমজানের শেষ ১০দিন ইতিকাফ করবেন, তিনি নিশ্চয়ই ‘লাইলাতুল কদরের’ ফজিলত লাভ করবেনই।
ইতিকাফের প্রকারভেদ : ইতিকাফ ৩ প্রকার। যথা- ১. ওয়াজিব ইতিকাফ, ২. সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ও ৩. নফল ইতিকাফ। ওয়াজিব ইতিকাফ : যা মানত করার কারণে ওয়াজিব হয়। সে ইতিকাফ অবশ্যই পালন করতে হবে। সুন্নাতে মুয়াক্কাদা : যা মাহে রমজানে (লাইলাতুল কদরের সওয়াব অর্জনের জন্য) শেষ ১০ দিন করা হয়। যা আমাদের প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবায়ে কেরাম করেছেন। বর্তমানে সারা বিশ্বের বিশেষ করে প্রায় সব মসজিদের সম্মানিত খতিব ও ইমাম সাহেবরা করে থাকেন। এই ইতিকাফ কিয়ামত পর্যন্ত চলতে থাকবে। নফল : নফল ইতিকাফের কোনো নির্ধারিত সময় নেই। যে কোনো মাসের যে কোনো দিনের যে কোনো সময় তা করা যায়। আর এই ইতিকাফকেই নফল ইতিকাফ বলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।