Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকাজুড়ে নিñিদ্র নিরাপত্তা

প্রকাশের সময় : ২৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট ও শোলাকিয়ায় ঈদগাহে হামলার পর ঢাকাজুড়ে নেয়া হয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তা। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, শপিংমল ও বিভিন্ন হোটেল মোটেলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ করে কূটনৈতিকপাড়া গুলশান-বনানী এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। বিদেশীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কূটনীতিক পাড়াসহ বিদেশী নাগরিকদের নজরদারি করতে কাজ করছে পুলিশের বিশেষ টিম।
নগরজুড়ে বাড়তি পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি মাঠে রয়েছে র‌্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। তিন শতাধিক চেকপোস্টের পাশাপাশি রাজধানীর মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে বাড়তি পুলিশ সদস্য। পুলিশ সূত্র জানায়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬টি বিভাগকে অর্ধশতাধিক জোনে ভাগ করে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। শহরজুড়ে র‌্যাব-পুলিশের ৩ শতাধিক চেকপোস্টে যানবাহন ও জনসাধারণকে তল্লাশি করা হচ্ছে। ঢাকাসহ দেশে দু’টি জঙ্গি হামলার ঘটনার পর চেকপোস্টগুলোতে অন গার্ড দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা আসে। বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলেই সরাসরি গুলি করার নির্দেশনা দেয়া আছে সদস্যদের।
চেকপোস্টে পুলিশের বাড়তি নজরদারিতে রাজধানীবাসী সন্তুষ্ট হলেও অনেকে এ নিয়ে আরেকটু সতর্ক হওয়ার কথা বলছেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, শুধু রাজধানীতে নয়, দেশব্যাপীই র‌্যাবের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাশকতা ও জঙ্গি তৎপরতা রোধে গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানোসহ র‌্যাবের টহলও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ডিএমপি তেজগাঁও জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার জানান, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এলাকাভিত্তিক সব ধরনের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া রয়েছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল পেট্রোল টিম, মোটরবাইক পেট্রোল, চেকপোস্ট, ফুট পেট্রোল টিম কাজ করছে সারা শহরে। চেকপোস্ট অনেকগুলো জোনে ভাগ করে বসানো হয়েছে।
কমলাপুর রেল স্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের প্রবেশ পথেই বসানো হয়েছে পুলিশের আর্চওয়ে। স্টেশনে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সবাইকে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে আসতে হচ্ছে। যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকে তল্লাশি করে ছাড়া হচ্ছে। প্রয়োজনে যাত্রীদের সঙ্গে থাকা ব্যাগ খুলে চেক করা হচ্ছে। এ ছাড়াও সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করাও হচ্ছে। গুলশান, বনানী, উত্তরা, বারিধারাসহ কূটনীতিক পাড়ার নিরাপত্তা ঢেলে সাজানো হয়েছে। দূতাবাসগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, ইরান, কাতারসহ বিভিন্ন দূতাবাসের সামনে অনগার্ডে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। গুলশান এলাকায় প্রবেশের দুটি পথে বসানো হয়েছে ৪টি চেকপোস্ট। প্রতিটি চেকপোস্টের দায়িত্বে একজন করে পুলিশের সিনিয়র কর্মকর্তা রয়েছেন। গুলশান-বারিধারা এলাকার নিñিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই এলাকার মধ্যে ব্যবসাসহ যে কোনো কাজ করতে হলে সোসাইটির কাছ থেকে পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
ডিএমপির উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. মাসুদুর রহমান বলেন, গুলশানে জিম্মি ঘটনার কারণে রাজধানীজুড়েই নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপরাধ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঢাকাজুড়ে নিñিদ্র নিরাপত্তা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ